ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় অর্থনীতিকেও এগিয়ে নিতে হবে

ড. শামসুল আলম

প্রকাশিত : ১১:২৮ এএম, ২৪ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:২৯ এএম, ২৪ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার

ড. শামসুল আলম

ড. শামসুল আলম

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও ক্রমবিস্তৃতি জাতিকে স্বাস্থ্যগত মহাঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে অবশ্যই। ১৭৩ দেশে এ বিপর্যয়কারী ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের পর, ইতালি, স্পেন ও ইরান অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের সম্মুখীন। বিভিন্ন দেশে এর বিস্তৃতি ঘটেই চলেছে। মৃত্যুসংখ্যা সাড়ে ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘ পূর্বাভাস দিয়েছে কয়েক মিলিয়ন প্রাণহানি ঘটতে পারে বিকশিত কোভিট-১৯ ভাইরাসের দ্রুত বিস্তৃতিতে। 

আমাদের দেশে করোনা বিস্তৃতি মোকাবিলায় সরকার সমন্বিত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করবে বিশ্বাসে প্রথমে শিবচরে পুরো লক-ডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। অনেকের ধারণা এ রকম যে, হোম কোয়ারেনটাইন নেওয়ার সুযোগ দেওয়ায়, বিশেষভাবে ইতালি থেকে আসা যখন শুরু হলো জনতার সঙ্গে অবাধে মেলামেশার সুযোগে এর প্রকাশ ও বিস্তৃতি শুরু হলো। সরকারি তত্ত্বাবধানেই তাদের নিজস্ব খরচে ১৪ দিনের রুম কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করার প্রয়োজন ছিল। 

যে পরিপ্রেক্ষিতেই হোক যা ঘটবার ঘটে গিয়েছে, সকলের সহযোগিতায় এখন সার্বিক সামাল দেওয়া সরকারের দায়িত্ব এবং প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্বশীল আচরণ এখন কাম্য। আশা করছি, গ্রীষ্মের খরতাপে করোনা বিস্তৃতি হ্রাস পেতে পারে। তবু রোগ বিস্তৃতির প্রেক্ষাপটে এখন জনগণকে বিচ্ছিন্ন কিংবা ‘লক ডাউনের’ আরো প্রয়োজন হয়তো দেখা দেবে। ফ্যাক্টরি-কলকারখানা বন্ধের কথা উঠবে। অফিস-আদালতের কার্যক্রম সীমিতকরণের কথা হবে। গণপরিবহন বন্ধের কথা কেউ কেউ বলবেন। এতে পণ্য-সরবরাহ শৃঙ্খল বাধাগ্রস্ত হতে পারে। হাটবাজার-বিনিময় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সার আমদানিসহ অন্য উপকরণ সরবরাহ বিঘ্নিত হলে কৃষিকার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। 

এই প্রেক্ষাপটে অন্যান্য নাগরিকের মতোই আমি চিন্তাগ্রস্ত। গত কয়েক মাস ধরেই বিশ্বমন্দার কথা বলা হচ্ছে। মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ আশঙ্কা অনেকেই প্রকাশ করেছিলেন। কার্যত ইউরোপ মন্দার কাল অতিক্রম করছে বিগত ছয় মাস অবধি। কোভিট-১৯-এর মহাপ্রলয়ে এবং জ্বালানি তেলের দাম সর্বনিম্ন হওয়ায় এখন বিশ্বের প্রভাবশালী একাধিক অর্থনীতিবিদ শঙ্কা প্রকাশ করে চলেছেন যে বিগত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের মহামন্দার চেয়েও আসন্ন এই মন্দা হবে বিশ্বব্যাপী আরো ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী। 

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘করোনা বিপর্যয়ে বৈশ্বিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে মোট ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।’ ক্রেতা-বিক্রেতা ভীতিগ্রস্ত হওয়ায় শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে বিশ্বের সর্বত্র। এ প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের বড়ো অর্থনীতির দেশগুলোতে কেন্দ্রীয় বাংকগুলো এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে—যাতে ব্যাংক সুদের হার শূন্য অথবা এর কাছাকাছি চলে আসে। লক্ষ্য হচ্ছে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখা। মন্দার তীব্রতা কতখানি হবে তা হয়তো এক্ষুনি বলা মুশকিল। 

তবে মন্দা আসন্ন, যদিও দেশে দেশে মন্দার তীব্রতা ভিন্ন ভিন্ন অনুভূত হবে। এটা প্রায় নিশ্চিত মন্দার ঢেউ সারা বিশ্বে বয়ে যাবে। ‘অর্থনৈতিক মন্দায়’ রপ্তানি কমে যেতে থাকে, শিল্প উত্পাদন কমে যায়, বেকার সমস্যা বাড়তে থাকে, যা প্রতিফলিত হবে নিম্নগামী দেশজ আয়ে। অন্তত দুই ত্রৈমাসিক এমনটা হতে থাকলে প্রতীয়মান হবে অর্থনৈতিক মন্দা প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। মন্দায় ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমতে শুরু করে এবং বাজারচাহিদা হয়ে পড়ে নিম্নগামী। 

করোনাজনিত বিপর্যয়ের ফলে, কিংবা লক-ডাউনে জনচলাচল, পণ্য চলাচল, আমদানি-রপ্তানি এবং উত্পাদন কার্যক্রম ব্যাহত হলে, প্রবৃদ্ধি কমে গিয়ে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। একদিকে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মহীনতা পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি অথবা পণ্য দুষ্প্রাপ্যতা ভোক্তা শ্রেণির জনজীবনে দারুণ হতাশাসহ অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে। মন্দা ও মূল্যস্ফীতি দুইই বাংলাদেশকে একত্রে মোকাবিলা (stagflation) করতে হতে পারে।

আমাদের দুই ফ্রন্টেই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম যাতে মন্থর না হয়ে পড়ে, পণ্য শৃঙ্খল যাতে ভেঙে না পড়ে, উত্পাদন কার্যক্রম যাতে বাধাগ্রস্ত বা স্থবির না হয়ে পড়ে তা অবশ্যই দেখতে হবে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে। সরবরাহ ঘাটতিতে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায়, সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই হবে। স্বাস্থ্য ফ্রন্টে মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে, সে একটি জীবন হলেও রাষ্ট্রকে তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সম্ভব সব ব্যবস্থাই নিতে হবে। আমরা লক-আউটের কথা বলছি—সেটা করতে হবে বিদেশ প্রত্যাগতদের কিংবা রোগগ্রস্তদের বাড়ি অথবা পাড়াকেন্দ্রিক বা গ্রামকেন্দ্রিক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে সেই ভিত্তিতে। উপজেলা, জেলা, শহরকেন্দ্রিক লক-আউট বাজার ব্যবস্থা তথা উত্পাদনব্যবস্থাকে ব্যাহত করবে। 

করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলো থেকে স্বদেশ প্রত্যাগমন বন্ধ করতে হবে। বিলম্বে হলেও বিমান চলাচল ইতিমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে, যা সঠিক সিদ্ধান্ত। ইংল্যান্ডও এর থেকে বাদ যাওয়া উচিত নয়। আসলে হোম সঙ্গনিরোধ নয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় যতটা সম্ভব নিজস্ব খরচে রুম কোয়ারানটাইন ব্যবস্থা কার্যকর হলে এরা জনতার সঙ্গে মিশে যেতে পারত না। স্বাস্থ্যবিধির সমস্ত শিষ্টাচার মানা সত্ত্বেও, অফিস-আদালত-সরকারি কার্যক্রম, বেসরকারি কার্যক্রম অবশ্যই চালু রাখতে হবে। গণপরিবহনে বিশেষভাবে ট্রেন-বাসে যাত্রার শুরুতে জীবাণুনাশক অবশ্যই ছিটাতে হবে। বাস, ট্রাক-লরি চলবে। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে গণপরিবহনে। 

সুপার মার্কেটগুলোসহ সব সভা-মিটিংয়ে জীবানুনাশক ছিটানো, হাত ধোয়ার যথেষ্ট ব্যবস্থা, প্রবেশে শারীরিক তাপমাত্রা নির্ণায়ক যন্ত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে। সব হাসপাতালগুলোই পূর্ণ স্বাস্থ্য শিষ্টাচারের আওতায় থাকবে। স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছা-কর্মীদের যুদ্ধকালীন কিংবা মহা-আপত্কালীন বিবেচনায় সার্বিক ও ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে চীনের সর্বোচ্চ সহায়তা গ্রহণ হবে খুবই ফলপ্রসূ। চীনে করোনা সংক্রমণ প্রথমে শুরু হলেও তারাই এটা নিয়ন্ত্রণে প্রথম সফল হয়েছে।

অর্থনীতি ক্ষেত্রে ব্যাপক মনোনিবেশ করতে হবে আমাদের। সর্বোচ্চ প্রয়াস নিতে হবে যেন আমদানি রপ্তানী ব্যাহত না হয়। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে, সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় উন্নয়ন বরাদ্দের যারা প্রায় ৭২ শতাংশ পেয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট সচিবগণকে রুটিন কার্যক্রম কমিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো অধিক মনোযোগী হতে হবে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশ সফরের ব্যবস্থা নেওয়া আছে, যেগুলো সরাসরি প্রযুক্তি উন্নয়ন, প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের সঙ্গে জড়িত নয়, সেগুলো পরিহার করা যৌক্তিক হবে। এ খাতে সঞ্চিত অর্থ দেশে গবেষণায়, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কারিগরি দক্ষতা অর্জনে, করোনা ব্যবস্থাপনা সামগ্রী ক্রয়ে ব্যয়িত হতে পারে। করোনা বিপর্যয় মোকাবিলায় অনেক অর্থের প্রয়োজন হবে। 

সরকারের আবর্তক ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টা নিতে হবে। এখন প্রবাসী আয় কমে যাবার সম্ভাবনা আছে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংহত রাখতে হবে। খেলাপি ঋণ আদায়ে প্রচেষ্টা জোরদার হতে হবে। খেলাপি ঋণ গোষ্ঠীর বেশির ভাগ দেশের সর্বোচ্চ সম্পদ ভোগকারী ওপরের ১০ শতাংশ ধনিক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। তাদের থেকে ঋণ আদায়ে বিনিয়োগে প্রভাব পড়বে না বরং অর্থের সঞ্চালন বাড়বে। আমদানি ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিং, রপ্তানি খাতে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ বেরিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ রয়েছে, তা দেশে সম্পদপ্রবাহ বৃদ্ধিতে গভীর তদারকি ও পর্যবেক্ষণে যেতে হবে। 

কৃষি খাত বিস্তৃত ও ব্যাপক ব্যক্তি খাত, এই খাতে উত্পাদন তত্পরতা ব্যাহত হয় এমন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সেচ কার্যক্রম-বিদ্যুত্ সরবরাহ পুরোপরি নিশ্চিত করতে হবে। মন্দা মোকাবিলায় ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ও নোবেল লরিয়েট জন মেনার্ড কিনস একদা বলেছিলেন, সরকারি ব্যয় বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন না থাকলেও একদিন গত খুঁড়ব আবার পরের দিন ভরে ফেলব যাতে অর্থনীতিতে অর্থপ্রবাহ চালু থাকে। শ্রমজীবীদের হাতে পয়সা তুলে দিলে তা তারা ব্যয় করবে এবং বাজারচাহিদা বৃদ্ধি পাবে, চাহিদা মেটাতে উত্পাদকগণ সক্রিয় থাকবে। সরকারি ব্যয় জনগণের আয়, সরকারি ব্যয় বাড়িয়ে মন্দা মোকাবিলা করা যাবে। ‘ফিসকালিস্ট’ হিসেবে জন মেনার্ড কিনস-এর এই তত্ত্ব গত শতাব্দীর ত্রিশোত্তর মন্দা মোকাবিলায় চাহিদা ব্যবস্থাপনায় যথাযথ প্রমাণিত হয়েছিল।

এ কারণেই এই মন্দার পদধ্বনির সময়ে সরকারি উন্নয়ন ব্যয় হ্রাসের সুযোগ নেই বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়। প্রয়োজনে করোনার বিপর্যয় মোকাবিলায় ধনীদের, করপোরেট হাউজগুলো থেকে দানের অর্থে ‘জরুরি তহবিল’ গঠন করা যেতে পারে। এটা এই কারণেও যে, সরকারি সহায়তা নীতি সমর্থন, কর অবকাশ, রপ্তানি প্রণোদনা, জমি লিজের মাধ্যমেই বাংলাদেশে বেশির ভাগ ধনাঢ্য শ্রেণি গড়ে উঠেছে। জাতীয় দুর্যোগে তারা স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসবেন অবশ্যই। শুধু সরকারি ব্যয় নয়, বেসরকারি ব্যয় বৃদ্ধিতে উত্সাহ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এমন নীতি গ্রহণে এগিয়ে যাক যাতে ঋণ সুদের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। 

অনাদায়ী ঋণের টাকা ফিরে পেলে, ব্যাংক বাধ্যতামূলক সঞ্চিতি কম রাখতে পারবে এবং মুদ্রার বাজারে টাকার সরবরাহ বাড়বে, সুদের হারও বাজার প্রতিযোগিতায় কমে আসবে। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এখন উচিত হবে ঋণ প্রাপ্তিকে সহজতর করা। বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প সুদে কুটিরশিল্প, ছোটো, মধ্যম ও মাঝারি শিল্পে ঋণ দিয়ে থাকে, সে সুদের হার ৪ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা যায় কিংবা এক বছরের জন্য সুদ মওকুফ করে দেওয়া যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকে বাধ্যতামূলক তহবিল সংরক্ষণে সুদের হার কমাতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি ব্যাংকগুলোকে সঞ্চিতির তুলনায় ঋণ প্রদানের হার বাড়াতে অনুমতি দিতে পারে। 

অর্থনীতিতে অর্থ সরবরাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব সম্প্রসারণশীল মুদ্রানীতিতে যেতে পারে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখাই হবে এসবের উদ্দেশ্য। পুনরুক্তি করছি। অর্থনৈতিক ‘আসন্ন সুনামি’ মোকাবিলায় আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। যা পাওয়া যায়, করোনা মোকাবিলায় প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সহায়তা নেয়া উচিত হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল করোনা ভাইরাস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক ১২ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাপ যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। প্রস্তুতি নেওয়ার এখনই সময়।

লেখক : অর্থনীতিতে একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ