ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চীন থেকে কিট পাঠালেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার

হাজারো মাইল দূরে থেকে দেশের জন্য এগিয়ে এসেছেন চায়না নানথোং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত মিজানুর সরকার। 

তিনি বৃত্তির টাকা বাঁচিয়ে সেই টাকায় ১০০টি করোনা ভাইরাস টেস্টিং কিট কিনে দেশে পাঠাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার কিটগুলো দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। 

মিজানুর রহমান সরকার জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর সরকাপাড়া গ্রামের আবু জাফর সরকারের ছেলে। জাতীয় সংসদের হুইপ, জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই ও ক্ষেতলাল) আসনের সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ওই শিক্ষার্থীর এমন উদ্যোগকে অভিবাদন জানিয়ে বুধবার (২৫ মার্চ) তার ফেসবুকে আইডিতে পোষ্ট দেন। 

এর আগে গত ২০ মার্চ মিজানুর রহমান তার ফেসবুক পোষ্টে লেখেন, ‘জয়পুরহাটে যারা দায়িত্বশীল আছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি মিডিয়া মারফত জানতে পারলাম জয়পুরহাটে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কোনো কিট নেই। তাই আমি চায়না থেকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য কিছু  কিট ডোনেট করতে চাই। এ বিষয়ে করণীয় প্রক্রিয়া জানার জন্য জয়পুরহাটে যারা স্বাস্থ্য বিভাগে জড়িত আছেন তাদের সাহায্য কামনা করছি।’ 

ফেসবুকে ওই পোষ্ট দেখে তার মুঠোফোন নম্বর দিতে বলেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। পরে তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন তিনি।  

হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন তার ফেসুবক পোষ্টে বলেন, ‘করোনার প্রকোপে এখনো ঘরবন্দি চীন। বাহিরে বেরুতে পারে না কেউ। কিন্তু দেশ ও এলাকার জন্য চীনে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান এগিয়ে এসেছেন। সে কিছু করোনা টেস্টিং কিট পাঠাতে চায় কিন্তু কোনো উপায় পাচ্ছে না। কিটগুলো আনতে বিমান প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষকে রাজি করানো হয়েছে। পরে চায়নার গোয়াংজুতে ইউএস বাংলার জিএসএ অফিসে মালামাল পৌঁছানোর জন্য ঠিকানা দেয়া হয়। এতে ওই শিক্ষার্থীর আনন্দ দেখে আমি সত্যিই অভিভুত।’

হুইপ বলেন, ‘আশা করছি ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ আগামীকাল (আজ) এগুলো দেশে আনবে। ছেলেটির মানবিকতা আমাকে অভিভূত করেছে। এরই নাম দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যেবোধ।’

এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় হুইপ মুঠোফোনে বলেন, ‘মিজানুর রহমানের পাঠানো কিটগুলো দেশে আসা মাত্রই আমাদের হাতে এসে পৌঁছবে আশা করি।’