রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় ৪ ভাষা সৈনিকের ম্যুরাল নষ্ট হচ্ছে অযত্ম, অবহেলায়
প্রকাশিত : ১২:৩২ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১২:৩২ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শনিবার
প্রশাসনের নজরদারির অভাবে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় চার ভাষা সৈনিকের ম্যুরাল নষ্ট হচ্ছে অযত্ম, অবহেলায়। ভাষা সৈনিকদের নামে করা স্মরনীগুলোর নামফলকও ঢেকে গেছে বিভিন্ন পোস্টারে। অনেকেই জানেন না তাদের কথা। শুধু ভাষার মাস নয়, সারাবছরই ম্যুরাল ও নামফলক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
চায়ের দোকানের কলা, রুটি ও কেকের আড়ালে এভাবেই ঢাকা পড়েছে ভাষাসৈনিক ডাক্তার গোলাম মাওলার আবক্ষ ম্যুরাল ও নামফলক।
ধানমন্ডি এক নম্বর সড়কটি ২০০৭ সালে ভাষাসৈনিক ডাক্তার গোলাম মাওলার নামে নামকরণ করা হয়। ভবঘুরে ও মাদকসেবীদের বসার জায়গায় পরিণত হয়েছে ম্যুরালটি। এর আশপাশে গড়ে উঠছে বিভিন্ন দোকান।
পোষ্টার আর স্টিকারে ঢেকে গেছে ভাষা সৈনিক আবুল কালাম সামছুদ্দিন সড়কের নামফলকটি। ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন সড়কে আবক্ষ ম্যুরালের নিচেও সেঁটে দেয়া হয়েছে কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন।
ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ম্যুরালে শ্বেতপাথরে কালো রঙের অক্ষরগুলো মুছে গেছে। তাঁর পরিচিতি ও কর্মজীবন নিয়ে লেখা লাইনগুলো পড়ে বোঝার উপায় নেই। শুধু তাই নয়, চারপাশে আবজর্নার স্তুপ।
ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের ম্যুরালের চারদিক ঘিরে গড়ে উঠেছে নার্সারী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নার্সারী মালিক বলেন, অনুমতি নিয়েই ব্যবসা চালাচ্ছেন।
ধানমন্ডি ১০ নম্বরে ‘ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র ও যাদুঘর’ এর আবেদনে ২০০৬ সাল থেকে ধানমন্ডির কয়েকটি সড়কের নামকরণ করা হয় ভাষাসৈনিকদের নামে। ম্যুরাল ও নামফলক রক্ষনাবেক্ষনে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার দাবি ভাষা সৈনিক ও তাদের পরিবারের। ।
মাতৃভাষার জন্য যারা আন্দোলন করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বাড়ানোর দাবিও জাানিয়েছেন তারা।