ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

অপরিহার্য পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা চালু রাখা যাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫০ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:১৮ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২০ শুক্রবার

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি অপরিহার্য পণ্য উৎপাদনকারী গার্মেন্ট কারখানা চালু রাখা যাবে। শুক্রবার (২৭ মার্চ) তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি অপরিহার্য পণ্য, যেমন— পিপিই, মাস্ক হ্যান্ডওয়াশ, ওষুধপত্র উৎপাদনের কার্যক্রম যেসব কারখানায় চলমান রয়েছে, সেসব কলকারখানার মালিকদের শ্রমিকের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সাপেক্ষে প্রয়োজনবোধে কলকারখানা চালু রাখতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, গত ২৬শে মার্চ তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করার বিষয়ে প্রচারিত এবং প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে, যেসব রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক ক্রয় আদেশ বহাল রয়েছে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি অপরিহার্য পণ্য উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, সেসব কলকারখানা শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে প্রয়োজনে চালু রাখতে পারবে। এ বিষয়ে বিজিএমইএ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছে।

এদিকে সরকার করোনা প্রতিরোধে অপরিহার্য পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধের নির্দেশনা দেয়নি বলে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র  এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর জানিয়েছে, যেসকল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ক্রয় আদেশ বহাল রয়েছে এবং যেসকল কারখানা করোনা প্রতিরোধে অপরিহার্য পণ্য উৎপাদন করছে সরকার সেগুলো বন্ধের নির্দেশনা দেয়নি। এ বিষয়ে আজ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়েছে। পত্রটি সকল মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইইডিসিআর কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা কঠোরভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে মালিকগণ প্রয়োজনবোধে বর্ণিত কলকারখানা সচল রাখতে পারবেন।

পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শিল্প কারখানা বন্ধের বিষয়ে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিন্ন বক্তব্য প্রচারিত হচ্ছে। এতে করে কারখানা মালিকগণ শিল্প কারখানা চালু রাখার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন। যেসকল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ক্রয় আদেশ বহাল রয়েছে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরী ও অপরিহার্য পণ্য পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট, মাক্স, গ্লাভস, হ্যান্ড ওয়াস বা স্যানিটাইজার, ঔষধ ইত্যাদির উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে, সেসকল কলকারখানা বন্ধের বিযয়ে সরকার কোন নির্দেশনা প্রদান করেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইডিসিআর কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা কঠোরভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে মালিকগণ প্রয়োজনবোধে বর্ণিত কলকারখানা সচল রাখতে পারবেন।

পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনাসহ তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিতকরণে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে প্রত্যেক কর্মীকে দেহের তাপমাত্রা পরিমাপক থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিকপক্ষকে পত্রে অনুরোধ করা হয়েছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশি হলে এবং সর্দি, কাশি ও শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা থাকলে অর্থাৎ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করে সঙ্গনিরোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হয়।

আরকে//