ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বনানীর এফ আর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের এক বছর আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৫ এএম, ২৮ মার্চ ২০২০ শনিবার

বনানীর এফ আর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ড ট্র্যাজেডির এক বছর আজ। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গত বছরের ২৮ মার্চ ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। দগ্ধ এবং আহত অবস্থায় ৭০ জনকে উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। এক বছর শেষ হলেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা ফৌজদারি মামলার তদন্তের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই।

মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগ। তদন্ত সংশ্নিষ্টদের ভাষ্য, এখনও তারা তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে আছেন।

এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ একাধিক সংস্থা তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে উঠে আসে এফ আর টাওয়ার নির্মাণে সীমাহীন ত্রুটি আর গাফিলতির কথা।

জানা যায়, ভবনের প্রতিটি তলার ভেতরের নকশা পরিবর্তনের কথাও। রান্নাঘর ও টয়লেটের অবস্থান একেক তলায় একেক রকম। ভবনটির অষ্টম তলা থেকে আগুন লাগে। ‘শর্টসার্কিট’ থেকে আগুন লাগার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সেখানে কার্যত কোনো ফায়ার এক্সিট ছিল না। যেটা ছিল সেটা নামকাওয়াস্তে। বছর ঘুরে এলেও সেই সব ত্রুটি মেরামতের অগ্রগতি জানা যায়নি।

কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে ২৩তলা বিশিষ্ট এফ আর টাওয়ার ভবনের সব ফ্লোরেই বিভিন্ন অফিস ছিল। এটির জমির মালিক ইঞ্জিনিয়ার এসএমএইচআই ফারুক হোসেন। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। এ কারণেই ভবনের সংক্ষেপে নাম দেওয়া হয় এফ আর টাওয়ার। নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগও ওঠে।

সে সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করে। এতে এজাহার নামীয় আসামি করা হয় এফ আর টাওয়ারের জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক হোসেন, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও ভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলামকে। তাসভির ক্রয়সূত্রে ২০, ২১ ও ২২ তলার মালিক। মামলাটি তদন্ত করছে ডিবির উত্তর বিভাগ। ফারুক হোসেন ও তাসভিরকে ডিবি গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছিল। এক বছরে মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এ বিষয়ে ডিবির উত্তরের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘মালিকপক্ষ দাবি করেছে তারা রাজউকের অনুমতি নিয়ে ভবনের বর্ধিত অংশসহ নকশা পরিবর্তন করে ভবন নির্মাণ করেছে।’

রাজউক বলছে, তাদের কোনো সংশ্নিষ্টতা নেই। তবে রাজউকের কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে ভবন মালিকপক্ষের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এসএ/