ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

করোনায় সিরাজগঞ্জে অনলাইনে পাঠদান 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৩৬ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২০ শনিবার

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশ জুড়ে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে সিরাজগঞ্জ জেলার উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের ২টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে। 

তবে অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে বিকল্প ক্লাস চালু করেছে অলাভজনক শিক্ষা সেবা প্রতিষ্ঠান খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থীকে এভাবে শিক্ষাদান করা হচ্ছে।

জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে নিজ বাসা-বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। করোনা সংক্রামণে চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে মানব হিতৈষী কর্মবীর ডা. মীর মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনের উদ্যোগে এনায়েতপুরে প্রতিষ্ঠিত খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ থাকলেও বিকল্প ব্যবস্থাপনায় লেখা-পড়া অব্যাহত রাখা হয়েছে।

চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের মত ক্ষতি মোকাবেলায় উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টিবোর্ড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউসুফের পরামর্শে অনলাইনে পাঠদান ও গ্রহণ চালু রেখেছে শিক্ষকরা। 

গত ২৪ মার্চ হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, বায়ো ক্যামেস্টি এন্ড বায়ো টেকনলোজি, মাইক্রো বায়োলজি, ইংরেজী, আইন, লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স, বিবিএ, ইসলামিক স্ট্রাডিজ, মেডিকেল ফিজিক্স সহ ১৪টি বিষয়ে মোট ১ হাজার ৪৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী অনলাইনে পাঠদানে আওতাভুক্ত। এক্ষেত্রে ক্লাসে উপস্থিতি পাঠদানের মত পরিপূর্ণভাবে সবাই অংশ গ্রহন করতে না পারলেও শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ সম্পৃক্ত হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক তারেকুল ইসলাম জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশক্রমে জুম অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে একাডেমিক লাইভ ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, কুইজ, অ্যাসাইনমেন্টের জন্য গুগোল ক্লাসরুম ব্যবহার করে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৬০/৬৫ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী ডিজিটাল পাঠদানে সম্পৃক্ত হয়েছে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ‘সামনে আমাদের পরীক্ষা, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। তাই চিন্তিত ছিলাম। এ অবস্থায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম আমাদের আশার আলো জাগিয়েছে। বাড়িতে বসেই প্রযুক্তির ব্যবহার করে ক্লাস করতে পারছি। এজন্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধের প্রতি আমরা সম্মান জানাই।’

এদিকে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা এই মুহূর্তে সময়ের দাবি মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হোসেন রেজা।

তিনি জানান, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের জন্য শিক্ষার্থীরা অনেক দিন ক্লাসের বাইরে থাকবে। এছাড়া সেমিস্টার শেষ হবার পথে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠান এটিআইয়ের সহায়তার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষালয়ে প্রযুক্তির পূর্ণতা থাকায় এ কার্যক্রম চালু করেছি। এক্ষেত্রে আমাদের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ প্রশংসার দাবিদার।’

এআই/