ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বাগেরহাটে বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২০ রবিবার

বাগেরহাটে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। 

হতদরিদ্র ও দিনমজুরদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা মেটোতে এ জেলায় ১‘শ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের সুগন্ধি গ্রামের আশ্রয় কেন্দ্রের গুচ্ছগ্রাম পল্লীর হতদরিদ্র মানুষদেরকে চাল, ডাল, তেল, লবন, পেঁয়াজ এবং সাবান দিয়ে এই  কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।

এসময় জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিল্লুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

পরে কচুয়া উপজেলার রাড়ীপাড়া, মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি, মোল্লাহাট, চিতলমারীসহ জেলা বিভিন্ন এলাকায় হতদরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও সাবান বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।

এই সহায়তার আওতায় প্রতিটি পরিবার ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি করে ডাল, তেল, লবন ও পেঁয়াজ এবং হাত ধোয়ার জন্য একটি করে সাবান পাচ্ছেন।

গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শামীম মোল্লা ও রিকশা চালক রজব আলী বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে ঘরের বাইরে যেতে পারিনা। চালসহ অন্যান্য খাবার ধার করে খাচ্ছি। ডিসি সাহেব চাল, ডাল দিয়েছে। খুব উপকার হলো।’

রোমেচা বেগম, হাসিম হাওলাদার, নার্গিস বেগমসহ কয়েকজন নারী জানান, ‘জেলা প্রশাসন থেকে চাল, ডালসহ অনেক কিছু পেয়েছি। তবে এতে আমাদের কয়েকদিন চলবে। এই পরিস্থিতি অব্যহত থাকলেও সহযোগিতা বৃদ্ধির দাবি জানান তারা।’

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যার যার ঘরে থাকছেন। অন্তর্বর্তীকালীন এই পরিস্থিতিতে যারা দিন আনে দিন খায়, হত দরিদ্র দিনমজুর জনগোষ্ঠীও  ঘরের বাইরে আসতে পাড়ছে না। সেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার যে ত্রাণ সহয়তা বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা তা হত দরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছি। আমাদের এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’

এআই/