ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

২শ টেস্টিং কিটস পেল সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:২৭ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২০ রবিবার

বড় বড় জেলা এমনকি দেশের বিভাগীয় পর্যায়েও এখনো করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব হয়নি। যেখানে জেলা সদর নাটোরে অন্যান্য জেলার মত আক্রান্ত বা সম্ভাব্য রোগীর চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে।

যেখানে আক্রান্ত রোগী রাখার ব্যবস্থা হয়েছে শুধু। অন্যান্য জেলার মতো এখানকার হাসপাতালে এখনও করোনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা হয়নি। এমন বাস্তবতায় সেই করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ২০০ টেস্টিং কিট পাঠানো হয়েছে নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। 

করোনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ওই ২০০ টেস্টিং কিটস পাঠিয়েছেন সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সের জন্য। 

আজ রোববার দুপুরে পাঠানো ওই কিটসের সাথে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ ও চাহিদা অনুযায়ী পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), হ্যান্ড গ্লাভস, ফেস মাস্ক, প্রোটেক্টিভ চশমা, জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ যাবতীয় মেডিকেল ইকুইপমেন্ট। 

ল্যাবসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকার পরও সংকটময় মুহূর্তে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো এই কিটস কী কাজে লাগবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস টেস্টিং কিটসসহ যাবতীয় মেডিকেল ইকুইপমেন্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।  

টেস্টিং কিট হস্তান্তর শেষে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক টেলিকনফারেন্সে বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সাহসিকতার সাথে কাজ করছেন এবং যেকোন খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত আছেন। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমার প্রাণের সিংড়াবাসীসহ সারা দেশের মানুষকে এই মহামারী থেকে আমরা নিরাপদ রাখবো ইনশাআল্লাহ।’

ল্যাব না থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজি (এমটি ল্যাব) ল্যাবটি অত্যাধুনিক। চারজন টেকনিশিয়ান কাজ করছেন ল্যাবে। এই ল্যাব থেকে আমরা ড্গেুরও সফল পরীক্ষা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, করোনা পরীক্ষাও আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। তবে কিটসটা এখনো খুলে দেখা হয়নি। পরীক্ষা বা ব্যবহার উপযোগী কিনা তা দেখে এবং এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে বৈঠক করে তাদের মতমতের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে যা সার্বিকভাবে আমাদের সহায়তা করবে। সবার মতামতের ভিত্তিতে কাজ করা হবে। এছাড়া আইইসিডিআরের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শ নেওয়া হবে।’

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার জানান, ‘টেস্টিং কিটস পাঠানোর বিষয়টি শুনেছি। তবে সিংড়ায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে বলে আমার জানা নেই।’

সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বলেন,  ‘শুনেছি সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ২০০ টেস্টিং কিটন হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এটি কোন কাজে আসবে বলে মনে হয় না। তবে তারা কিটস বক্সগুলো খুলে দেখে জানাবে বলেছে।’

যেখানে নাটোরেই করোনা পরীক্ষার বিশেষায়িত ল্যাব নেই। অনেক বড় বড় জেলাতেই করোনা পরীক্ষার ল্যাব, কিটস কিছুই নেই। এই টেস্টের জন্য পলিমার রিএকশন মেশিন বা পিসিআরের প্রয়োজন। যা খুবই ব্যয়বহুল এবং দেশের খুব কম হাসপাতালেই রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী সিংড়াবাসীর নিরাপত্তার কথা ভেবে কিটসের ব্যবস্থা করতে পারেন বলেও জানান তিনি। 

এআই/