ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

বাউফলে করোনার ঝুঁকি নিয়েই চলছে সিগারেট কোম্পানির কার্যক্রম

বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ১১:৫৭ এএম, ৩০ মার্চ ২০২০ সোমবার

করোনার প্রভাবে দেশব্যাপী জীবনযাত্রায় স্থবিরতা নামলেও, প্রভাব পড়েনি পটুয়াখালীর বাউফলে সিগারেট কোম্পানিগুলোর বিক্রয় কার্যক্রমে। 

ফলে, বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মার্কেটে বের হচ্ছেন প্রতিনিধিরা। এতে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অনেকে। 

জানা গেছে, করোনা সতর্কতায় ওষুধ ও অল্প কিছু খাবারের দোকান ব্যতীত অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে দিনরাত কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। 

এমন অবস্থায়ও থেমে নেই পৌর সদরের জাপান টোবাকো (জেপিআই) নামে সিগারেট কোম্পানির (শেখ, নেভি, মালব্রো, এলডি ব্রান্ডের) বিক্রয় কার্যক্রম। 

জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন ব্যাগ ও বস্তায় মালামাল নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যেতে হচ্ছে কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ বিক্রয় প্রতিনিধিদের কেউ কেউ। 

চাকরি হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, ‘আমাদের পরিবার আছে। কোম্পানির বিক্রয় কার্যক্রম চালু থাকায় প্রতিদিন দশমিনা, গলাচিপাসহ তিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চষে বেড়িয়ে ২১ জন কর্মচারি নিজে ও পরিবারের সবার জন্য ঝুঁকি নিয়ে বাসায় ফিরছি।’ 

জানতে চাইলে কোম্পানির স্থানীয় টেরিটরি অফিসার মো. সেলিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, ‘অফিস থেকে কোন বিক্রয় গাড়ি বের হয়নি। বিভিন্ন দোকানদারের কাছে ক্রেডিট থাকে। প্রতিনিধিরা দু’চার প্যাকেট নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করে টাকা তুলে নিয়ে আসেন।’

সিগারেট কোম্পানির এ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে বাউফল পৌর সদরের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার, মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অহিদুজ্জামান সুপন বলেন, ‘চায়ের দোকান গ্রামের লোকজনদের আড্ডাস্থল। স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ সিগারেট চায়ের দোকানের রসদ যোগায়। করোনার মতো বিপর্যয় মোকাবিলায় মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, এখানকার সিগারেট কোম্পানি তখন বিক্রয় কার্যক্রম চালু রেখে দৃষ্টতা দেখাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। 

এআই/