ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

করোনায় ধুঁকছে পৌনে ৮ লাখ মানুষ, মৃত্যু ৩৭৮১৪

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৬ এএম, ৩১ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার

কোনোভাবেই থামছে না করোনার দাপট। থমকে যাওয়া বিশ্বে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত ও লাশের সারি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর দেয়া তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির কবলে পড়েছেন ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭১২ জন। এর মধ্যে প্রাণহানির সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮১৪। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬০৬ জনে। 

বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৭১২ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৮ জনের।  

মহামারি আকার ধারণ করা ভাইরাসটি বিশ্বের অন্তত দুইশটি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। উৎপত্তিস্থল চীনের বাহিরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইতালিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেশি হলেও আক্রান্তের দিক থেকে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। 

দেশটিতে এখন পর্যন্ত  এক লাখ ৬৪ হাজার ২৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩ হাজার ১৬৪ জন। সুস্থ হয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৬ জন। 

করোনার ছোবলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। সর্বোচ্চ মৃত্যুর দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে ৮১২ জনের। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৫৯১ জন। অপরদিকে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ এক হাজার ৭৩৯ জন। 

আক্রান্তের দিক থেকে পিছিয়ে নেই ইউরোপের আরেক দেশ স্পেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট ৮৭ হাজার ৯৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রাণহানির সংখ্যা ৭ হাজার ৭১৬ জন। যেখানে গত একদিনে মারা গেছেন ৯১৩ জন। 

সংখ্যায় কম হলেও এখনো আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে উৎপত্তিস্থল চীনে। যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মারা গেছেন ৫ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮১ হাজার ৫১৮ জনে পৌঁছেছে। অপরদিকে, নতুন ৫ জনসহ মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। 

জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৮৮৫। মারা গেছে মাত্র ৬৪৫ জন আর সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ১৩ হাজার। ফ্রান্সে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৫৫০ জন। মারা গেছে ৩ হাজার ২৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯২৭ জন।

ইরানে আক্রান্ত ৪১ হাজার ৪৯৫, মারা গেছে ২ হাজার ৭৫৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯১১ জন। যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছে এক হাজার ৪০৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ১৪০ জন। সুস্থ হয়েছে মাত্র ১৩৫ জন।

ভয়াবহ অবস্থায় ইউরোপের আরেক কেন্দ্রবিন্দু যুক্তরাজ্যও। সেখানে জারি করা হয়েছে লকডাউন। তারপরও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দ্বিতীয় এলিজাবেথও করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি পাননি। 

এতে করে থমকে গেছে গোটা ব্রিটেন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ১৪১। যেখানে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ হাজার ৪০৮ জন। যেখানে ৮ বাংলাদেশিও রয়েছেন। 

দক্ষিণ এশিয়ায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তের দেশ ভারত। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। যেখানে মৃতের সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৩২ জনে। দেশটি এখন ২১ দিনের লকডাউনে আছে। এছাড়া পাকিস্তানে ১ হাজার ৭১৭ জনের আক্রান্তে মারা গেছে ২১ জন।   

বাংলাদেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় একজন বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। মারা গেছেন এখন পর্যন্ত ৫ জন। সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চীন থেকে আনা হয়েছে কিট। 

এআই/