ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বাংলাদেশের পাশে থাকতে বিদেশি ক্রেতাদের আশ্বাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪৪ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২০ বুধবার

বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট  নাজুক পরিস্থিতির প্রভাবে হুমকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত৷ এমন অবস্থায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিদেশি ক্রেতারা। এরই মধ্যে এইচ এন্ড এম, ইন্ডিটেক্স, পিবিএইচ, কিয়াবি, এম এন্ড এস, প্রাইমার্কের মতো বায়াররা ক্ষতি কাটাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

এছাড়াও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের জন্য পিপিই বানাতে নিজেদের একদিনের বেতন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে টম এন্ড টেয়লর। বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, এসব ক্রেতার বাইরে আরও বায়ার আমাদের অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে। কিভাবে এই অংশীদারিত্ব হবে সেটি দ্রুততম সময়ে ঠিক করা হবে।

করোনার এ পরিস্থিতিতে দেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য আরও কিছু সুখবর আসছে। দেশি-বিদেশি সূত্রগুলো জানাচ্ছে, তৈরি পোশাক খাতের বাতিল হওয়া ক্রয়াদেশগুলোর জন্য নতুন করে ক্রয়ের আদেশ আসবে আগামী সপ্তাহে। পাশাপাশি মিলবে নতুন অর্ডারও। বিদেশে থাকা বাংলাদেশ মিশন ও তৈরি পোশাক খাতের মালিকরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।

ইউরোপ-আমেরিকার কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস ইস্যুতে যেসব ক্রেতা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অর্ডার বাতিল করেছে, সেগুলো ফিরিয়ে আনা এবং এই ইস্যুতে বিদেশি ক্রেতাদের ইতিবাচক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ চলছে। 

তাদের এ বিষয়ে প্রকৃত পরিস্থিতি বোঝানো হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই এই বিষয়ে সুবাতাস পাওয়া যাবে। পাশাপাশি করোনার মতো বৈশ্বিক মহামারি ইস্যুতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের পাশে যেন বিদেশি ক্রেতারা সক্রিয়ভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে, সেজন্যও কূটনীতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকারক ও মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাত নিয়ে বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। আগামী সপ্তাহে ভালো খবর পেতে পারেন।’

এদিকে, সুইডেনের বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান এইচঅ্যান্ডএম গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতেই জানিয়েছে, তারা তাদের অর্ডারগুলো বহাল রাখবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা যেসব তৈরি পোশাক কারখানাকে পণ্য ক্রয়ের অর্ডার দিয়েছিলাম, সেগুলো বাতিল হচ্ছে না। আমরা আমাদের প্রতিজ্ঞা রক্ষা করব। অর্ডারগুলোর ডেলিভারি নেব।

প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল আসে আরেকটি সুখবর। ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি (অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যিক সুবিধা) অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ন্যায়পাল কার্যালয়। 

আরকে//