ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, টাকা দিয়ে ধামাচাপার চেষ্টা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৪৭ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২০ বুধবার

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মামলা করার পর আসামি সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রনি (২০)কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী মেয়ের মায়ের দায়ের করা মামলার বরাত দিয়ে পরিদর্শক আতিকুর রহমান আতিক বলেন, গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে ৯ বছরের বাক-প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে রেখে তার মা ক্ষেতে গম কাটতে যান। এ সুযোগে একই গ্রামের রনি বাড়িতে ঢুকে তার প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়ের গোঙানীর শব্দে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে রনি পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মেয়ের মা বলেন, “আমার মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে রনি। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুজ্জামান চৌধুরী আমার বাড়ি আসেন।” এ সময় ছেলের পক্ষ এবং আরও বেশকিছু স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি জানান। ইউপি সদস্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অনুরোধ করেন বলেও মেয়েটির মা অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আমার ছেলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করলে বাড়িতে পুলিশ এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে এবং ‘ধর্ষণকারী’ রনিকে গ্রেপ্তার করে।”

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য রাশেদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “শুনেছি একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে আমিসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে ওই মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম বিষয়টির খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। আমি এই ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি অভিযোগটি সত্য নয়।”

পরিদর্শক আতিকুর রহমান আতিক আরও বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার শিশুটির মা বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলায় সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আসামি রনিকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। 

“বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনার মীমাংসার সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।”

কেআই/এসি