ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সন্‌জীদা খাতুনের ৮৮তম জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৫ এএম, ৪ এপ্রিল ২০২০ শনিবার

বাঙালির সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব সন্‌জীদা খাতুনের ৮৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। 

তিনি জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের মেয়ে। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৭৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘রবীন্দ্রসংগীতের ভাবসম্পদ’ গবেষণাপত্রে পিএইচডি ডিগ্রি নেন তিনি। তার পিএইচডি-উত্তর গবেষণা ‘ধ্বনি থেকে কবিতা’। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন।

১৯৬১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসনামলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনের সূচনা হয়। সেই আন্দোলনের শুরু থেকেই নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন সন্‌জীদা খাতুন। তিনি ছায়ানটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ২০০১ সাল থেকে।

লেখক ও সম্পাদক হিসেবেও অত্যন্ত সফল সন্‌জীদা খাতুন। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভাবসম্পদ, ধ্বনি থেকে কবিতা, অতীত দিনের স্মৃতি, রবীন্দ্রনাথ :বিবিধ সন্ধান, ধ্বনির কথা আবৃত্তির কথা, স্বাধীনতার অভিযাত্রা, সাহিত্য কথা সংস্কৃতি কথা, জননী জন্মভূমি, রবীন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্রনাথ। 

তিনি ছায়ানটের ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’র সম্পাদক। এ ছাড়াও তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, নালন্দা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশে ব্রতচারী আন্দোলনের নবযাত্রায় ব্রতচারী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

কর্মময় জীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ সন্‌জীদা খাতুন অর্জন করেছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের স্বর্ণপদক ও সম্মাননা, সা'দত আলী আখন্দ পুরস্কার, অনন্যা পুরস্কার, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সম্মানজনক ফেলোশিপ, বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। 

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সন্‌জীদা খাতুনকে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি দিয়েছে। এ ছাড়াও তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার’, কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি পেয়েছেন।
এসএ/