ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নাটোরে জ্বর-সর্দি কাশির চিকিৎসা দিচ্ছে সেনাবাহিনী

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:৩৫ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০২০ শনিবার

থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে তাপমাত্রা নির্ণয় করছেন এক সেনা সদস্য

থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে তাপমাত্রা নির্ণয় করছেন এক সেনা সদস্য

সাধারণ মানুষের জ্বর-সর্দি কাশিসহ নানা রোগের চিকিৎসা সেবা শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেই সাথে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হয়েছে কিনা, তা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করছে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত একটি মেডিকেল টিম। 

শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থাপন করা হয় সেনাবাহিনীর এই মেডিকেল ক্যাম্প। 

প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার লেফটেনেন্ট কর্নেল আরিফ। 

সূত্র জানায়, জ্বর-সর্দি কাশিসহ নানা রোগ নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই বাসুদেবপুর নাটোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থাপিত সেনাবাহিনীর অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পে আসছে নানা বয়সী ও শ্রেণী, পেশার মানুষ। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত রেখে প্রাথমিকভাবে মেডিকেল টিমের সদস্যরা থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে তাপমাত্রা নির্ণয় করছেন। এরপর বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। 

এদিকে, সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা এবং বিনামূল্যে ঔষধ পেয়ে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ খুব খুশি। বাসুদেবপুর গ্রামের আমনুরা বেওয়া বলেন, খবর পাওয়ার পর সেনাবাহিনীর মেডিকেল ক্যাম্পে আসি। আমার জ্বর-সর্দি কাশি থাকার কথা তাদেরকে বললে, তারা ভালভাবে দেখে চিকিৎসা দিয়েছে। সেই সাথে ঔষধও দিয়েছে। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২১ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের একটি প্রতিনিধি দল এ চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এসময় আগত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করেন বগুড়া ক্যান্টমেন্টের চিকিৎসা সেবা প্রধান লেফটেনেন্ট কর্নেল ডা. তাহমিনা আক্তার ও সহকারী ডা. ক্যাপ্টেন মাহমুদ। প্রাথমিকভাবে জ্বর-সর্দি কাশিসহ নানা রোগের রোগির সংখ্যাটা বেশি বলে জানান চিকিৎসক দলের প্রধান লেফটেনেন্ট কর্নেল ডা. তাহমিনা আক্তার।

এর আগে সকালে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ। এ সময় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বি, ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সভাপতি নবীউর রহমান পিপলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ জানান, দুর্যোগকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর এ ধরনের চিকিৎসাসেবা প্রশংসনীয়। আগামী দিনে তারা সবগুলো উপজেলায় এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে আশা করছি। 

১৭ প্যারা পদাতিক ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক ও নাটোর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার লেফটেনেন্ট কর্নেল আরিফ বলেন, এই দুর্যোগকালীন সময়ে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এই ধরনের মেডিকেল ক্যাম্প করার পরিকল্পনা নিয়েছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি জ্বর-সর্দি কাশিসহ কোভিড-১৯ এর কোনো উপসর্গ রয়েছে কিনা তাও নিশ্চিত করা হচ্ছে। 

সেনাবাহিনীর এই ধরনের মেডিকেল টিম জেলার সাতটি উপজেলায় কাজ করবে বলেও তিনি জানান।

এনএস/