ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ১১ হাজারের কাছাকাছি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৫ এএম, ৭ এপ্রিল ২০২০ মঙ্গলবার

ইউরোপের পর করোনার মৃত্যুপুরী যুক্তরাষ্ট্রে আবারও বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা। যেখানে মৃতের সারি ১১ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। আক্রান্ত সাড়ে ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। 

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও বিশ্বখ্যাত ওয়ার্ল্ডোওমিটার জানিয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ২৫৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৮৭১ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৩৩১ জন। 

এর মধ্যে করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখছে নিউ ইয়র্ক। যদিও শহরটিতে গত দুই দিনের তুলনায় গত একদিনে সেখানে কম সংখ্যা ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তারপরও নতুন ৩৫০ জনসহ প্রাণহানি বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৭৫৮ জনে।

আক্রান্তদের মধ্যে গোটা দেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ রোগীই এ অঙ্গরাজ্যের। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজারে। 

এরপর নিউ জার্সিতে আক্রান্ত সাড়ে ৪১ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে সংকটাবস্থা পার করছে প্রবাসীরাও। করোনায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মতো বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। যাদের অধিকাংশেই নিউ ইয়র্কে থাকতেন। 

শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত শতকের বেশি বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যুক্তরাজ্যে। সেখানে অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। 

চলমান অবস্থা আরও ভয়ংকর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এফইএমএ) সরকারকে জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা সামাল দেয়া মুশকিল হতে পারে। তাই এসব ব্যাগ সরবরাহ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এগুলো বিতরণের দায়িত্ব পেয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েক লাখ মাস্ক কেনার চিন্তা করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। 

উল্লেখ্য, করোনার থাবায় বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫ হাজার ২২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।  আজ মঙ্গলবার সকাল বিশ্বের ২০৯টি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৬৫৪। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫ জন। যদিও সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৮। 

এআই/