ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নির্দেশনা অমান্য করে বাল্যবিয়ে, কাজি-ঘটকের কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৫০ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার

করোনার প্রভাবে প্রশাসন যখন মানুষকে গৃহবন্দি করতে ব্যস্ত, এমন সুযোগে বাল্যবিয়ের আয়োজনের ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গায়।  

জেলার আলমডাঙ্গায় পৃথক দুটি বাল্যবিয়ের আয়োজন করার এ ঘটনায় কাজি-ঘটককের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে অভিভাবকসহ ছয়জনকে জরিমানা করা হয়েছে। 

বুধবার (৮ এপ্রিল) আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী দুটি পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ শাস্তি দেন। 

জানা যায়, মেহেরপুর জেলার সালদা গ্রামের বাবুল হোসেনের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী দীপা খাতুনের বিয়ে ঠিক হয় একই জেলার ষোলটাকা গ্রামের আবুল কালামের কিশোর ছেলে বাচ্চু আলীর সঙ্গে। করোনার প্রভাবে নিজ এলাকায় বাল্যবিয়ে দেওয়ার অসুবিধার কারণে কৌশলে পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার খোরদ গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে একরামুল হকের বাড়িতে ওই বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়।

ঠিক এমন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে উপস্থিত হন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কাজী নূর উদ্দীন ও ঘটক মেহেরপুর জেলা গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের তৈয়ব আলীকে ৫ দিন করে কারাদণ্ড দেন। 

একইসঙ্গে, বর কিশোর বাচ্চু আলী, বিয়ে বাড়ির মালিক একরামুল হক ও কনের চাচা মেহেরপুর জেলা গাংনী উপজেলার সালদা গ্রামের ইসরাইল হোসেনসহ প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

অন্যদিকে একই দিনে আলমডাঙ্গা উপজেলার কাঁটাভাঙ্গা গ্রামে আরেকটি বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। কাঁটাভাঙ্গা গ্রামের মহসিন আলীর দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী টায়রা খাতুনের বিয়ের আয়োজন করা হয় একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এখার উদ্দীনের ছেলে ফিরোজ আলীর সঙ্গে।

বুধবার দুপুরে বরযাত্রী বিয়েবাড়িতে পৌঁছলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কাজী বাড়াদী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুস সাত্তারকে ১০ হাজার, কনের বাবা মহাসিন আলী ও বর ফিরোজ আলীসহ প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। 

এআই/