ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বসুন্ধরায় দুই হাজার বেডের করোনা আইসোলেশন হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৮ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনার প্রকোপ ঠেকাতে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অন্তত দুই হাজার আইসোলেশন বেড করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ অথবা ২০ দিনের মধ্যেই সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়ে কাজ শুরু হয়ে যাবে।’

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নিজ বাসা থেকে ভিডিও কলে সরাসরি করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বসুন্ধরা কনভেনশনের পাশাপাশি রাজধানীর নর্থ সিটি সেন্টারকে ১৪'শ বেড এবং উত্তরার দিয়া বাড়ির পুর্ব নির্ধারিত ৪টি বিল্ডিংয়ে আরো ১২'শ বেডের আইসোলেশন সেন্টার করার কথাও আমরা ভাবছি।

আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘দেশে সাড়ে ৫'শ এর উপড়ে ভেন্টিলেটর রয়েছে।পাশাপাশি আরো ৩৮০ টি নতুন ভেন্টিলেটর আনা হচ্ছে।আইসিইউ আর ভেণ্টিলেটর এক জিনিস নয়।একটি আইসিইউ ইউনিটে একাধিক ভেন্টিলেটর থাকতে পারে।’

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ মুহিত খান বলেন, ‘প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের আওতায় থাকা ৬৯টি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজন হলে যেকোন হাসপাতাল সরকার চাইলে করোনার জন্য ডেডিকেটেড করা হবে। এখন থেকে এই এসোসিয়েশনের আওতাধীন হাসপাতালগুলো ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে ও দেশের মানুষের সেবা প্রদান করবে।’

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারিভাবে মোট ১২৫৭ টি আইসিইউ ইউনিট রয়েছে।যার মধ্যে সরকারি ৫২০ টি এবং প্রাইভেট ৭৩৭ টি। এগুলোর মধ্যে ঢাকায় আছে ৯২৬ টি এবং ঢাকার বাইরে রয়েছে ৩৪১ টি। এগুলোর মধ্যে শুধু করোনার জন্য ডেডিকেটেড আইসিইউ প্রস্তুত রাখা আছে ১০০-১৫০ টি। তবে, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে অন্যান্য আইসিইউ করোনা মোকাবেলায় সংযুক্ত করা যাবে।

অন্যদিকে দেশে জেলা ও উপজেলা সরকারি হাসপাতালসমূহের মোট ৬৫৪ টি কেন্দ্রে বর্তমানে মোট শয্যাসংখ্যা রয়েছে ৫১ হাজার ৩১৬ টি এবং প্রাইভেট হাসপাতালের মোট ৫,০৫৫ টি কেন্দ্রে ৯০ হাজার ৫৮৭ টি শয্যা রয়েছে।এদের মধ্য থেকে দেশব্যাপী ৬৬৯৩ টি বেড শুধু করোনার জন্যই আলাদাভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনলাইন ভিডিও প্রেস ব্রিফিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা এনামুর রহমান,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর সানিয়া তাহমিনা ও আইইডিসিয়ার এর পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদি সাব্রিনা ফ্লোরা।