ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

শিবচরের ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৩ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার

কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করেছেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ১১ জন সরকারি কর্মকর্তা। এতে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটির মধ্যে নির্দেশনা থাকার পরেও এ ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মস্থলে অনুপস্থিতির ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে গত ৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে চিঠি পাঠায়।

চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় কর্মরত ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা কন্ট্রোলরুমে ও ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের অনুপস্থিতির কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমসহ শিবচর উপজেলার অন্যান্য সরকারি কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। এ সকল অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

১১জন কর্মকর্তা হলেন, শিবচর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার শ্যামল কৃষ্ণ মালাকার, উপজেলা সমবায় অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হারুন-অর-রশিদ, সাব-রেজিস্ট্রার মো. আ. মতিন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সত্য রঞ্জণ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম আসাদ, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. মোশারফ হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক এমারত হোসেন ও সহকারী হিসাবরক্ষক অসীম বালা। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দুই দফায় এই ছুটি বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।

এমএস/এসি