ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

চুয়াডাঙ্গায় সড়কে সড়কে তল্লাশি চৌকি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০১:৪২ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২০ শুক্রবার

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। 

পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে যানবাহন ও মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে জেলার সবকটি প্রবেশপথসহ ১১টি স্থানে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া কোনও যানবাহন জেলায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের চলাফেরায় আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কাঁচা বাজারগুলোকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য চালু রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কয়েকটি জেলায় করোনা ভাইরাসের বিস্তার বেশি ঘটেছে। ফলে ওই সব এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে কর্মরত লোকজন নিজ নিজ জেলায় ফিরছেন এবং ফেরার চেষ্টা করছেন। সেসব এলাকা থেকে কেউ চুয়াডাঙ্গায় ফিরলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। তাই, জেলাবাসীকে করোনার ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পার্শ্ববর্তী জেলার সঙ্গে সব প্রবেশপথ এবং আন্তঃউপজেলার সড়কপথে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

এর অংশ হিসেবে রোগীবাহী গাড়ি, ওষুধ, পণ্যবাহী গাড়ি, কৃষিপণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী গাড়ির মতো জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনের বাইরে সবধরনের যানবাহন ও মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বদরগঞ্জ, হাসাদহ, পাটিকাবাড়ি ও কুলপালাসহ বিভিন্ন এলাকার ১১টি স্থানে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। পাশাপাশি টহল জোরদার করা হয়েছে।’

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার অবস্থা নিয়ন্ত্রণে। অন্যান্য জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে সেসব জেলা বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুর থেকে অনেকে নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু বাইরে থেকে লোক ঢুকলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। আর তা মোকাবিলা করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

এআই/