ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

হটলাইনে ফোন করলেই বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে খাবার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১১ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৮:১৪ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২০ রবিবার

করোনার প্রভাবে কর্মহীন মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন যারা লোক-লজ্জার কারণে খাদ্য সামগ্রী চাইতে পারছেন না, তারা হটলাইনে ফোন করলেই ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে খাবার। এজন্য ঠাকুরগাঁওয়ে মধ্য বিত্তদের মাঝে আপন হয়ে উঠেছে হটলাইন নম্বর। জেলা প্রশাসনে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অসহায় দুস্থদের পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী।  

হতদরিদ্র কিংবা নিন্ম আয়ের মানুষ হাত পাতার আগেই যেকোন দুর্যোগেই অনেক সময় পেয়ে যায় ত্রাণ সহায়তা। কিন্ত সমস্যা মধ্যবিত্ত বা নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের। তাঁরা না পারে চাইতে, না পারে বলতে। এমন অবস্থায় অসহায় হতদরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পাশে দাঁড়িয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন। 

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা দুইটার মধ্যে প্রশাসনের হটলাইন ফোন নম্বরে কল করলে গ্রহণ করা হয় নাম ঠিকানা, ভোটার আইডি নাম্বার। বিকেলে ছয়টি গাড়ির মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, তেল ও চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। 

এব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, করোনার কারণে কর্মহীন অসহায় লোকজন খাদ্যের জন্য পৌর মেয়র, কাউন্সিলরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন। কিন্তু শহরের মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্মহীন অনেক লোকজন আছেন, যারা লোকলজ্জার কারণে কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। নিরুপায় হয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে। এ কথাটি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সময়ের দাবি, ত্রাণ যাবে বাড়ি শ্লোগানে এ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এজন্য দুটি হটলাইন নাম্বার দেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচিটি প্রাথমিক অবস্থায় পৌর এলাকায় চালু করা হয়েছে। শিগগির ইউনিয়ন পর্যায়ে তা চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।  

গত ৬ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ফোনের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার মধ্যবিত্ত বা নিন্ম মধ্যবিত্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
কেআই/