ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

ভারত থেকে ধেঁয়ে আসছে হলুদ-সাদা প্রজাপতি

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:১৮ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২০ মঙ্গলবার

হলুদ-সাদা সেই প্রজাপতি

হলুদ-সাদা সেই প্রজাপতি

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে ভারত থেকে ধেঁয়ে আসছে এক ধরনের হলুদ-সাদা রঙের প্রজাপতি। উপজেলার উমার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খড়মপুর গ্রামে এ দৃশ্য দেখা গেছে। এ রকম বিরল প্রজাতির প্রজাপতি এলাকাবাসী আগে কখনও দেখেনি। 

এতে করে একদিকে মানুষের কৌতুহল যেমন সৃষ্ঠি হয়েছে তেমনি উঠতি বোরোসহ নানা ফসলের ক্ষতির আশংকা করছে স্থানীয় কৃষকেরা। তবে এ ধরনের প্রজাপতি ফসলের কোন ক্ষতি না করলেও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

উপজেলার খড়মপুর গ্রামের আধিবাসী ধামইরহাট সরকারি এম এম ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মো. হাদিউল ওমামী বলেন, গত তিন দিন ধরে খড়মপুর গ্রামের পশ্চিমে ভারত থেকে অবিরাম হলুদ প্রজাতির এক ধরণের প্রজাপতি এসব এলাকায় প্রবেশ করছে। এসব প্রজাপতি আমাদের দেশের সাধারণ প্রজাপতির মতো দেখতে নয়। মাঝারী ধরণের এসব প্রজাপতির অধিকাংশই হলুদ, মাঝে মাঝে হালকা সাদা প্রজাপতিও দেখা যাচ্ছে। বাসা বাড়ির উপর প্রায় ৭/৮ ফুট উচু দিয়ে এরা উড়ে বেড়াচ্ছে।  

ওই গ্রামের রবিউল আলম জানান, তিনি গত শুক্রবার ফার্শিপাড়া মোড় থেকে খড়মপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে এ প্রজাপতি ওড়ার দৃশ্য দেখেছেন। একই এলাকার কৃষক আবু সাঈদ বলেন, কোন প্রকার সাড়া শব্দ না করে এসব প্রজাপতি পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে যাচ্ছে। এলাকার মাঠে মাঠে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান রয়েছে। এসব ধানের ক্ষতি করতে পারে বলেও তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা বলেন, বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে। এটি মূলত লেপিডকটেরা বর্গ ও পাইরিডি প্রজাতির প্রজাপতি। এদের দুটি পাখা থাকে। পাখায় ছোট ছোট আইশ থাকে। এরা সাধারণত মাটি থেকে ১২ থেকে ১৫ হাত উচুঁতে এবং দিনের বেলা চলাচল করে। তবে ধান বা অন্য কোন শস্যের ক্ষতি করে না। তারপরও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এনএস/