ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩২

এনায়েতপুরে ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: 

প্রকাশিত : ০৫:৩৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২০ রবিবার

যমুনার ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রাথমিক ভাবে বালু ভর্তি জিও টেক্স ব্যাগ ডাম্পিং শুরু হয়েছে। ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচিল এলাকায় এ কাজের উদ্বোধন করে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।

জানা যায়, গত প্রায় ১০ বছর ধরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দক্ষিন পাশ থেকে পাঁচিল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার জুড়ে যমুনার পশ্চিম পাড়ে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এজন্য এসব এলাকার হাজার-হাজার ঘরবাড়ি ও অসংখ্য আবাদী জমিন বিলীন হয়েছে। এলাকাবাসীর জোড়ালো দাবী থাকলেও সেরকম কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি এখনো। গতবার ১ কিলোমিটার জুড়ে পাউবো জিও ব্যাগ ফেলে কিছু এলাকা রক্ষা করলেও বাকি জায়গায় নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় পাঁচিল, আড়কান্দি ও বাক্ষ্মনগ্রামে ভাঙ্গন রোধে জিও বস্তা ডাম্পিং শুরু করেছে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই কাজের উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। এসময় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

কবির বিন আনোয়ার এ প্রতিনিধিকে জানান, যমুনার পশ্চিম তীরের গাইবান্ধা, বগুড়া সহ সিরাজগঞ্জের সব এলাকাতেই বর্তমান সরকার বাধ দিয়ে রক্ষা করেছে। শুধু এনায়েতপুরের এই এলাকাটি বাদ থাকায় ভাঙ্গন বৃদ্ধির কারনে আমরা নিজেরাও আতংকিত। এখানে ৬ কিলোমিটার কাজের জন্য প্রকল্প একনেকে রয়েছে। করোনা দুর্ভোগ না থাকলে ৭৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হতো। তবে আগামী বন্যা মৌসুমে এই এলাকা যাতে ভাঙ্গন মুক্ত থাকে সেজন্যই করোনা আতংকের মধ্যেই আমি জিও বস্তা ফেলানোর কাজ দেখতে এসেছি। আসা করছি স্থায়ী বাধটির কাজ দ্রুত অনুমোদন হলে তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ অঞ্চল ও গুরুত্বপুর্ন খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সহ পুরো এলাকাটি রক্ষা পাবে। 

এদিকে ভাঙ্গনে আড়কান্দির আতংকে থাকা ফজলুল হক ডনু ও বাক্ষ্মনগ্রামের খোরশেদ আলম সরকার জানান, এনায়েতপুর জুড়ে ৬ কিলোমিটার ভাঙ্গনের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আড়কান্দি ও বাক্ষ্মনগ্রাম। অথচ এই দুই গ্রামে যথাযথ গুরত্ব না দিয়ে দক্ষিন এলাকায় আগে বস্তা ফেলা হচ্ছে। এছাড়া আগামী বন্যা মৌসুমে যদি কার্যকরি কোন পদক্ষেপ না থাকে তাহলে এই ৪ কোটি টাকার কাজ কোন ফলই দেবেনা। 

আরকে//