আবারো অযন্ত অবহেলায় স্বরূপে ফিরে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলার শহীদ মিনারগুলো
প্রকাশিত : ০৯:২৭ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:২৭ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার
ভাষার মাস শেষ না হলেও, আবারো অযন্ত অবহেলায় স্বরূপে ফিরে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলার শহীদ মিনারগুলো। ভাষার মাস আসলেই শুরু হয় এগুলো ধোয়া মোছার কাজ, তার পর আবার আগের মতই অবহেলা। অন্যদিকে অনেক জেলা শহরের স্কুলগুলোতে এখনো তৈরি হয়নি কোনো শহীদ মিনার।
মাদারীপুর শহরের শান্তিনগর এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় ১৯৭৪ সালে জেলার প্রথম শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়। যা এখন পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
মিনারের মূল বেদি আর চত্ত্বরে বছরজুড়ে রাখা হয় খোয়া, বালু আর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালামাল। জায়গাটি অবাধে ব্যবহৃত হয় গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান হিসেবে। বসছে মাদকসেবীদের আড্ডাও।
একই অবস্থা দিনাজপুরের কেন্দ্রীয় শহদি মিনারটির, সারাবছর অরক্ষিত-অপরিচ্ছন্ন থাকা মিনারটি ধোয়ামোছা করা হয় শুধু ভাষার মাসে। এছাড়াও পুরো এলাকায় আছে দখলদারদের দৌরাত্ব।
গাইবান্ধায় পৌরপার্কসহ পুরো জেলায় আছে শতাধিক শহীদ মিনার, যার সবগুলোই বছরজুড়ে ব্যবহার হয়, ধান-মরিচ শুকানোর মত ব্যক্তিগত কাজে।
এদিকে ভাষা আন্দোলনের ৬৫ বছর পার হলেও নেত্রকোনা, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও ফেনীর বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার।
শহীদ মিনারের সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার আইনি বিধান থাকলেও বছর জুড়েই কেন এর বেহাল দশা, এমন প্রশ্নে বরাবরের মতই আগামীতে ভালো ভাবে দেখভালের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।
ভাষা আন্দোলনের চেতনা আর শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে, প্রতিটি জেলারস্কুল গুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের পাশাপাশি তা সংরক্ষনের দাবি সচেতন মহলের।