ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

মৌলভীবাজারে পুলিশ ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আক্রান্ত আরও ৫

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ২ মে ২০২০ শনিবার

মৌলভীবাজারে নতুন করে আরও জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো জুড়ি ও কমলগঞ্জ উপজেলায় দুইজন করে ও শ্রীমঙ্গলে একজন। আক্রান্তদের মধ্যে দুই পুলিশ, একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও একজন আনসার সদস্য রয়েছেন। অন্যজন নিরাপত্তা কর্মী।  

তাদের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন তাউহীদ আহমদ। এ নিয়ে জেলায় করোনার শিকার হলেন ১৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন। 

জুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সমরজিৎ সিংহ সাংবাদিকদের জানান,  ‘জুড়ি উপজেলায় দুই পুলিশ সদস্যের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা দু’জনই জুড়ি থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। পরে তাদের অবস্থান স্থল ও তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের আইসোলেশন রাখা হচ্ছে।’

জুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, ‘আক্রান্ত ওই দুই পুলিশ সদস্য গত ১৫ এপ্রিল এ থানায় যোগদান করেন। সাধারণ উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত ২৬ এপ্রিল তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়। তাদেরকে সিলেট শহীদ সামছুদ্দিন হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।’

এদিকে প্রথমবারের মতো করোনার হানা দিয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলায়। আক্রান্ত হয়েছেন দুইজন। এদের মধ্যে একজন সোনালী ব্যাংক ভানুগাছ শাখার কর্মকর্তা। অপরজন একজন আনসার সদস্য। তারা দুইজনই কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ বাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন। শুক্রবার বিকেলে জেলা সিভির সার্জনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুল হক।

তিনি বলেন, ‘আক্রান্তদের বাসা লকডাউন করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

এদিকে শ্রীমঙ্গল  উপজেলায় নতুন করে আরও এক ব্যাংকের নিরাপত্তা রক্ষী আক্রান্ত হয়েছেন। তার বাড়ি সদর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধায় তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ আহমদ চৌধুরী।

তিনি জানান, ‘এর আগে একই ব্যাংকের এক কর্মকর্তার করোনা পজেটিভ আসায় তাকে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।’

এদিকে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন তাউহীদ আহমদ জানান, ‘মৌলভীবাজারে আক্রান্ত প্রত্যেকের অবস্থাই ভালো। তবে সাধারণের চলাচল সীমিত ও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ করোনা উপদ্রুপ এলাকা থেকে লোকজন আসা বন্ধ না করলে মৌলভীবাজারে ভয়াবহতা দেখা দিবে।’

এআই//