ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরলেন পিতা-পুত্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ৩ মে ২০২০ রবিবার

পিতা কামরুল ইসলাম ও পুত্র সালমান হোসেন -ছবি একুশে টিভি।

পিতা কামরুল ইসলাম ও পুত্র সালমান হোসেন -ছবি একুশে টিভি।

মরণঘাতী করোনাকে জয় করে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট থেকে বাড়ি ফিরলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ গ্রামের পিতা-পুত্র। আজ রোববার দুপুরে সদর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে হাসপাতাল থেকে বিদায় দেয়া হয় পিতা-পুত্রকে।

নারায়ণগঞ্জ ফেরত ৩৫ বছর বয়সী নির্মাণ শ্রমিক কামরুল ইসলামের করোনা শনাক্ত হয় ১১ এপ্রিল। এর  তিনদিন পর ১৪ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হয় তার সংস্পর্শে আসা সাত বছরের শিশুপুত্র সালমান হোসেনের। তবে পরিবারের অন্য ৫ সদস্যের নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে। পিতা-পুত্র দুইজনে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো।

করোনা থেকে সুস্থ্য হওয়া কামরুল ইসলাম জানান, তারা পিতা-পুত্র পাশাপাশি বেডেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারা হাসপাতালে থাকাকালীন নিয়মিত কালোজিরা ও মধু খেতেন এবং বাপ-ছেলে মিলে নিয়মিত নামায পড়তেন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় তারা খুশি এবং সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিতা ও পুত্র দুইজনের পর পর দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাদেরকে করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ ঘোষণা দিয়ে আজকে তাদেরকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠানো হয়। এসময় কিছু নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয় বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।

তিনি বলেন, আসলে আপনারা জানেন যে, করোনা ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। মূলত সিম্পটম দেখেই চিকিৎসা দেয়া হয়। আর এই পিতা-পুত্র দুজনও সেরকম অসুস্থ ছিলেন না, তবে করোনা পজেটিভ ছিলেন। আমরা তাদেরকে আইসোলেশনে রেখে সিম্পটম অনুযায়ী যতটুকু দরকার ততোটুকুই চিকিৎসা দিয়েছি। পরবর্তীতে পিতা-পুত্রের দুটি স্যাম্পল নিয়ে টেস্ট করে নেগেটিভ পেয়েছি। এখন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ায় তাদেরকে আজ হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করে দিয়েছি। তবে বাড়িতে গিয়ে কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলার পরামর্শও দিয়েছি।   

এনএস/