ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

করোনাকালে ডিপিএস এসটিএস স্কুলের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ৪ মে ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৫:০৯ পিএম, ৪ মে ২০২০ সোমবার

কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থমকে আছে। দেশজুড়ে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রয়েছে, তবে, এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাস পরিচালনায় সামনের দিকে রয়েছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল। এছাড়াও, এ সঙ্কটকালীন সময়ে, ডিপিএস এসটিএস স্কুল অভিভাবকদের সুবিধায় বেশ কিছু নির্দেশনার ঘোষণা দিয়েছে।

ইতিমধ্যেই, স্কুলটির পক্ষ থেকে বকেয়া টিউশন ফি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলমান সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর দুই সপ্তাহের মধ্যে অভিভাবকরা বকেয়া টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে কোনো টিউশন ফি বাড়ানো হবে না। এছাড়াও, বার্ষিক টিউশন ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে ৪টি কিস্তি বাড়িয়ে ১০টি কিস্তি করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ০% ইএমআইতে (সুদবিহীন) ফি পরিশোধ করার বিষয়টির আলোচনাও চলমান রয়েছে। সাধারণ ছুটি চলাকালীন পরিবহন ফি বাবদ সংগ্রহ করা অর্থ পুনরায় কার্যক্রম শুরু হলে অভিভাবকদের প্রদান করা হবে। 

এ নিয়ে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ (প্রিন্সিপাল) হর্ষ ওয়াল বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই শিক্ষাব্যবস্থা একটি অভুতপূর্ব সময়ের সম্মুখীন। সকল সমস্যা মোকাবিলা করে ডিপিএস এসটিএস স্কুল অনলাইনের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করেছে। এ প্রতিকূল সময়ে আমরা আমাদের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং সকল অংশীজনদের সহায়তায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমি আনন্দের সাথে বলতে চাই, আমাদের পরিচালিত সব অনলাইন ক্লাসগুলোতে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বতস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি, অনলাইন ক্লাসগুলোতে উপস্থিতি ৮৫ শতাংশের বেশি।’  

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে অব্যাহত রাখা পাশাপাশি, বর্তমান ও ভবিষ্যতে ক্লাসে উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষাদান নিশ্চিত করা। এজন্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যাদের নিজেদেরও পরিবারের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে; তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারাই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদ-। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলো নিয়ে কোনো আপোষ করছিনা এবং প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামের নিয়মিত রক্ষাণাবেক্ষণ করছি। স্কুল থেকে সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে সর্বোচ্চ সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি।” 

আরকে//