ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

করোনা রোধে মানুষকে পাহারা দিচ্ছে রোবট!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৭ এএম, ৪ মে ২০২০ সোমবার

চীনের এবার করোনাভাইরাস রোধে মানুষকে পাহারা দিচ্ছে রোবট। কেউ ঠিকমতো কোয়ারেন্টিন মানছে কিনা, কেউ লকডাউন বা আইসোলেশনের নিয়ম লঙ্ঘন করছে কিনা দেখে বেড়াচ্ছে।

ভাইরাস বিস্তার রোধে রাজধানী বেইজিংয়ে বেশ কিছু পাহারাদার রোবট মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ। কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় করোনার মহামারীকে বশ করে এনেছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার।

ফের যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে অর্জিত অগ্রগতি ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য বিদেশ ফেরত নাগরিক ও বিদেশি পর্যটকদের নির্দিষ্ট কোয়ারেন্টিন সেন্টার বা হোটেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে।

কিন্তু এ বিপুলসংখ্যক মানুষ নিয়ম মানছে কিনা তা একজন একজন করে মনিটরিং অনেক কঠিন বিষয়। সেই দায়িত্বই এখন তুলে দেয়া হয়েছে রোবট ও ক্যামেরার হাতে। খবর এএফপির।

কেউ যাতে কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভঙ্গ না করে এ জন্য বেইজিংয়ে হোটেলের প্রতিটি কক্ষের দরজায় ক্যামেরা লাগানো আছে। হোটেলের প্রতি তলায় একজন করে ব্যক্তি দায়িত্বে আছেন যিনি সার্বিক মনিটরিং করছেন। আর রোবটের দায়িত্ব হচ্ছে সবার খাবার সরবরাহ করা।

তিন ফুট লম্বা এই রোবট হোটেল অতিথিদের পানি, খাবার ও বিভিন্ন প্যাকেজ সরবরাহ করছে। রোবটি দরজায় গিয়ে ল্যান্ডলাইনে ফোনে বলে, ‘হ্যালো, এটি আপনার সার্ভিস রোবট, আপনার অর্ডার চলে এসেছে।’

এর পাশাপাশি ডাক্তারও এসে সবার দেহের তাপমাত্রা যাচাই করছেন এবং কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কিনা তা জেনে নিচ্ছেন।

এদিকে বাসায় যারা কোয়ারেন্টিন পালন করছেন তাদের প্রত্যেকের বাসার দরজায় ইলেকট্রনিক অ্যালার্ম লাগানো আছে। বের হলেই তা আওয়াজ করবে এবং প্রতিবেশী জেনে যাবে।

আর প্রতিবেশীর উদ্দেশে নির্দেশনা দেয়া আছে কোয়ারেন্টিন ব্যক্তি বের হলেই সরকারি কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিতে হবে। বের হওয়ার প্রয়োজন হলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের আগে জানাতে হবে।

বেইজিংয়ে কোয়ারেন্টিন করেন জার্মান সাংবাদিক ফ্রেডরিক বয়েজে। দেশে ফেরার পর বলেন, ‘তিনি যে ভবনে ছিলেন তার কক্ষের দরজায় একটি ক্যামেরা লাগানো ছিল। এটি মেনে নেয়া ছিল কষ্টকর।’

এমবি//