ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তৌহিদের খুনি গ্রেপ্তার, রহস্য উন্মোচন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১৮ পিএম, ৪ মে ২০২০ সোমবার

গ্রেপ্তারকৃত আসামি আশিক

গ্রেপ্তারকৃত আসামি আশিক

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম খান হত্যার সাথে জড়িত প্রধান আসামি আতিকুজ্জামান আশিককে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৩ মে) সার্কেল এস পি আল আমিনের নেতৃত্বে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সোমবার (৪ মে) এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান, পিপিএম। একইসঙ্গে চাঞ্চল্যকর এই  হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছেন ময়মনসিংহ জেলা ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ ও এসআই দেবাশীষসহ পুলিশ সদস্যরা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, খুনি আশিক মৃত সোহেল মিয়ার ছেলে। আসামি আশিক পেশাদার চোর ও মাদকসেবী। ঘটনার দুই দিন আগে ভিকটিম তৌহিদের সাথে তার বাসার গলির মাথায় রমজানে সিগারেট খাওয়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময়ের তৌহিদের হাতে একটা দামী মোবাইল দেখতে পায় আশিক। তখন থেকেই সেই মোবাইল নেয়ার লোভ হয় আসামি আশিকের। তৌহিদ বাসায় (মেসে) গেলে তার পিছু নিয়ে এসে বাসা দেখে যায় আশিক। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বাসার ছাদে উঠে চুরি করতে ঢুকলে তৌহিদ তাকে ধরে ফেলে। উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পাশে থাকা রড দিয়ে ভিকটিমকে রক্তাক্ত করে আশিক পালিয়ে যায়।
 
গত ৩ মে বিকেলে আসামিকে আকুয়া বোর্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বয়ান মতে, হত্যাকাণ্ডের সময় পরিহিত রক্তমাখা প্যান্ট এবং গেঞ্জি গাজীপুরের শ্রীপুর এমসি বাজার হতে এবং ৪ মে মেসের পাশের পুকুর হতে রড উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত সেই রড

এদিকে, আসামি আশিককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের দেয়া বক্তব্যকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা বলছেন, পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ীই তৌহিদকে যে রড দিয়ে হত্যা করার কথা বলা হয়েছে সেটি তাদের বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না। কারণ, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে তৌহিদকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ যে আলামত জব্দ করেছে সেটি গোলাকার একটি রড এবং আকারে মোটা। এই রড দিয়ে আঘাত করা হলে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন এমন হবার কথা নয়। সেইসাথে হত্যাকাণ্ডে সে সব সূত্র পাওয়া গেছে, সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আরো শক্তভাবে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং অপরাধীর মাস্কহীন স্পষ্ট ছবি প্রকাশ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার সোলায়মান-এর বাসার ভাড়াটিয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম গত ১ মে ভোরে অজ্ঞাত ব্যক্তি কতৃক ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মৃত্যু হয়।

এনএস/