ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

আজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস

প্রকাশিত : ০২:৪২ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০২:৪২ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৭ শুক্রবার

আজ ঐতিহাসিক ৩রা মার্চ; স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস। ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর টালবাহানা ও জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো দেশ। ছাত্রলীগ এবং শ্রমিকলীগের উদ্যোগে পল্টন ময়দানের জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ইশতেহার। বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীকার আন্দোলনের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করে ছাত্রসমাজ। ৩ মার্চ ১৯৭১, জাতীয় পরিষদের পূর্ব নির্ধারিত অধিবেশন স্থগিত করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশ। ‘বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে ঢাকা। দেশব্যাপী চলা অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ জনতা যোগ দেন ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানের জনসভায়। একে একে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ও শ্রমিক নেতারা। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঞ্চে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বাংলার বীর শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি না করার ঘোষণা দেন তিনি। প্রকৃতপক্ষে ছাত্রসমাজ বঙ্গবন্ধুর সেদিনকার ভাষণে স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা পায়। তার উপস্থিতিতে জনসভায় পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ইশতেহার। একই দিনে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠকের জন্য ঢাকায় আসেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই সভাকে বন্দুকের নলের মুখে ‘নিষ্ঠুর তামাশা’ বলে অভিহিত করে তা প্রত্যাখান করেন। তার এই সিদ্ধান্তে স্বাধীনতার ডাক আরো সুস্পষ্ট হয় বলে মনে করেন এই ইতিহাসবিদ। জনসভা থেকে টানা তিনদিনের হরতাল পালনের আহবান জানানো হয়। ৫ মার্চ বায়তুল মোকারম থেকে লাঠি মিছিল বের করার কর্মসূচিও দেওয়া হয়।