ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

একুশে টেলিভিশনের দুই সদস্য করোনা পজিটিভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ১২ মে ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:১৫ পিএম, ১২ মে ২০২০ মঙ্গলবার

একুশে টেলিভিশনের লোগো

একুশে টেলিভিশনের লোগো

একুশে টেলিভিশনের দুইজন সদস্যের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। তাদের একজন বার্তা বিভাগের সদস্য এবং অন্যজন অনলাইন বিভাগের সদস্য। মঙ্গলবার (১২ মে) একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই একুশে টেলিভিশনের বার্তাকক্ষসহ সবগুলো ইউনিট বিশেষ সতর্কতার সাথে যথেষ্ঠ সাবধানতা অবলম্বন করে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এর মধ্যে গত এপ্রিলের শেষের দিকে বার্তা বিভাগের একজন সদস্য শরীরে ব্যাথা অনুভব করলে গত ২ মে তিনি কোভিড-১৯ টেস্ট করান। যার ফল নেগেটিভ আসে। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ না করায় ওইদিনের (২ মে) পর থেকে তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হলে গত ৯ মে আবারো সস্ত্রীক কোভিড-১৯ টেস্ট করান। এবার তার ফল পজিটিভ আসে কিন্তু তার স্ত্রীর ফল নেগেটিভ আসে। তবে তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো রয়েছে। তিনি বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
 
এদিকে, একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের সংস্পর্শে আসা কর্মীদের তালিকা করে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। 

অন্যদিকে, অনলাইন বিভাগের যে সদস্যটি কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, তিনি গত ২৫ মার্চ থেকে বাসায় অবস্থান করছিলেন এবং সেখানে থেকেই অফিসের কাজ করছিলেন। গত কয়েকদিনে লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্থাপিত বুথে গত ১০ মে পরীক্ষা করান। আজ ১২ মে হাতে পাওয়া রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে। তিনি বর্তমানে নিজ বাসাতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

একুশে পরিবার করোনা আক্রান্ত দুই সদস্যের পাশে আছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে একুশে টেলিভিশনের সিইও পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসহ সব বিষয়েই তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, কঠিন এই সময়ে গণমাধ্যমকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। সকল গণমাধ্যম কর্মীকে একুশে টেলিভিশনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এখন পর্যন্ত যেসব সাহসী যোদ্ধা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। একদিন এই বিপদ কেটে যাবে। আধাঁর ভেদ করে হাসবে নতুন সূর্য। সেই শুভদিনের প্রতীক্ষায় আমরা।

এনএস/