ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১ ১৪৩২

মৈমনসিংহ গীতিকার বিভিন্ন পালা এখনো মানুষের মুখে মুখে

প্রকাশিত : ০২:৩০ পিএম, ৪ মার্চ ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০২:৩০ পিএম, ৪ মার্চ ২০১৭ শনিবার

বাংলার লোক সাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন মৈমনসিংহ গীতিকার বিভিন্ন পালা এখনো মানুষের মুখে মুখে। ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেন সম্পাদিত বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের লোকগাথার ১০টি পালার মধ্যে মহুয়া, মলুয়া, চন্দ্রাবতী, কাজলরেখা এখনও নানা আঙ্গিকে তুলে ধরছেন শিল্পীরা। গবেষকরা বলছেন, মৈমনসিংহ গীতিকার সুরই পারে অপসংস্কৃতির হাত থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে। নেত্রকোনা প্রতিনিধি মনোরঞ্জন সরকারকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহের লোক সংস্কৃতি সংগ্রহের পর সম্পাদনা করে ১৯২৩ সালে মৈমনসিংহ গীতিকা প্রকাশ করেন ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেন। মহুয়া, মলুয়া, চন্দ্রাবতী, কমলা সুন্দরী, দেওয়ান ভাবনা, দস্যু কেনারামের পালা, কাজলরেখা প্রথম দিকে কিচ্ছা ও পালা হিসেবেই পরিবেশিত হয়। জয় করে মানুষের মন। অমর প্রেম গাঁথা পালাগুলো যুগের পরিবর্তনে আঙ্গিক বদলে বর্তমানে নাটক, গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্যের ঢংয়ে মঞ্চস্থ হচ্ছে। অপসংস্কৃতির কবল থেকে মুক্তি পেতে মৈমনসিংহ গীতিকার চর্চা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান গবেষকদের। মৈমনসিংহ গীতিকার পালাগুলোতে নারী চরিত্রই থাকে নাম ভূমিকায়। দুর্জয় প্রেম-বিরহে নারী চরিত্রগুলো পালাগুলোকে মহিমান্বিত করে। তাই গীতিকার বিভিন্ন পালার আবেদন এখনো ফুরোয়নি বলে মনে করেন আশির দশকের নাট্যকর্মীরা। বর্তমানে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার শিল্পীরা পালাগুলো নৃত্যনাট্য রুপে উপস্থাপন করছেন। মৈমনসিংহ গীতিকা বাংলা লোকসাহিত্যের ইতিহাসে বড় একটা অংশজুড়েই রয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।