ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২২ ১৪৩২

সমাজের উন্নয়নে কাজ করতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত : ০৭:২৭ পিএম, ৪ মার্চ ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৭:২৭ পিএম, ৪ মার্চ ২০১৭ শনিবার

ছাত্ররাজনীতির অতীত গৌরব ফিরিয়ে এনে সমাজের উন্নয়নে কাজ করতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ তম সমাবর্তনে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন হতেই হবে। তা না হলে ভষ্যিৎ নেতৃত্বশূণ্য হয়ে যাবে। ছাত্র রাজনীতির বর্তমান চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ছাত্ররাজনীতির বর্তমান অবস্থা হচ্ছে আদর্শের চেয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠি স্বার্থই প্রাধান্য পায়। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা। প্রথমেই সমাবর্তন বক্তা বাংলাদেশের সন্তান অমিত চাকমাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়। পরে বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সুপারিশে ৬১ জনকে পিএইচডি, ৪৩ জনকে এম.ফিল এবং ১৭ হাজার ৮৭৫ জনকে গ্র্যাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এছাড়া ভালো ফলাফলের জন্য ৯৪ জনকে দেয়া হয় স্বর্ণপদক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের অগ্রগতি ও ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এরপর গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন কানাডার ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অমিত চাকমা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ তার ভাষণে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা তুলে ধরেন। ছাত্ররাজনীতির বর্তমান অবস্থাও তুলে ধরেন তিনি। ডাকসু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও সমাবর্তন বক্তা অমিত চাকমাকে নিয়ে র‌্যালি করেন উপাচার্য আ আ মস আরেফিন সিদ্দিক। সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে আনন্দ উল্লাসে জীবনের স্মরণীয় মূহুর্তকে ফ্রেমবন্দি করেন সব গ্র্যাজুয়েট।