ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

বিমান ও গণপরিবহন চালুর কথা ভাবছে ভারত 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ১৭ মে ২০২০ রবিবার | আপডেট: ১১:৪৮ এএম, ১৭ মে ২০২০ রবিবার

(ছবি- রয়টার্স)

(ছবি- রয়টার্স)

চতুর্থ দফা লকডাউনে (অবরুদ্ধ) রেড জোনেও আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে রাজ্যগুলির প্রস্তাব অনুযায়ী কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে ভারতের কেন্দ্রী সরকার। এর মধ্যেও কিছু কিছু এলাকায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। দিল্লির সঙ্গে দেশের ১৫টি স্থানের রেল যোগাযোগ শুরুর পরে এ বার সীমিত সংখ্যায় হলেও বিমান পরিষেবা চালু করার কথা ভাবছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র। 

আগামিকাল সোমবার তৃতীয় দফা লকডাউনের শেষ দিন। সোমবার থেকে শুরু হবে চতুর্থ দফা লকডাউন। সূত্রের মতে, অধিকাংশ রাজ্যই নিজেদের সুপারিশে লকডাউন ৩১ মে পর্যন্ত চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে শুরু করা সম্ভব হয়, সে বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে। দিল্লির পক্ষ থেকে জোড়-বিজোড় নীতি মেনে বাজার খোলার দাবি করা হয়েছে। জনসাধারণের চলার জন্য সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর কথাও ভাবা হচ্ছে। 

বাসের মতো গণপরিবহণ চালু করার পক্ষে মত দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তীসগঢ় সরকারের পক্ষ থেকে রেড-অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনকে চিহ্নিত করার ক্ষমতা রাজ্য প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যের বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি পেশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ। পঞ্জাব, তেলঙ্গানার মতো সরকার কৃষি কাজের বিষয়টি মাথায় রেখে গণপরিবহণ চালুর কথা বলছে। তবে বিহার, ওড়িশা কিংবা মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য এই মুহূর্তে আন্তঃরাজ্য গণপরিবহণ চালু করার বিপক্ষে। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় শিল্প কারখানা চালু করার দাবি তুলছে কেরল। গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্য আর্থিক গতিবিধি পুরো দমে চালু করার পক্ষে রায় দিয়েছে।

গুজরাতের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেলের বলেন, ‘লকডাউনের সঙ্গে আর্থিক গতিবিধিও গুরুত্বপূর্ণ। এখন আর করোনার ভয়ে বাড়িতে বসে থাকা সম্ভব নয়।’ নিয়ম শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাও।  তিনি বলেন, ‘চতুর্থ দফায় পাঁচতারা হোটেল খুলবে না কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ম শিথিল করা হবে বলে আশা রাখছি।’ তবে আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য অসম পুরো মে মাসই কঠোরভাবে লকডাইন পালনের পক্ষে মত দিয়েছে।  

কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, অর্থনৈতিক গতিবিধিতে প্রাণ সঞ্চার করতে হলে গণপরিবহণে ছাড় দিতেই হবে। সে ক্ষেত্রে রেড জোনগুলিতে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে গণপরিবহণ চালানো যায়, তার চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরিতেই ব্যস্ত রয়েছে কেন্দ্র। ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে বিশেষ রেল ব্যবস্থা। ট্রেনের মতোই সীমিত সংখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে বিমান পরিষেবা শুরু করা যায় কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এমএস/