ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

চীনের পর লাদাখ সীমান্তে সৈন্য বাড়াচ্ছে ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১৩ পিএম, ১৭ মে ২০২০ রবিবার | আপডেট: ১১:২২ পিএম, ১৭ মে ২০২০ রবিবার

মাত্র কয়দিন আগেই চীন আর ভারতের সৈন্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এখনো তার রেশ কাটেনি। এর মধ্যেই  উত্তেজনা ছড়াল লাদাখ সীমান্তে। নয়াদিল্লির হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে ইঙ্গিত মিলেছে, লাদাখের ভারত-চীন সীমান্ত বরাবর নির্মাণকার্য শুরু করেছে চীনা বাহিনী। তাই ওই এলাকার সীমান্ত আরও সুরক্ষিত করছে ভারত। ওই এলাকায় মোতায়েন থাকা ভারতীয় সেনাদলের শক্তিও আরও বাড়ানো হচ্ছে।

সপ্তাহ খানেক আগেই ভারত ও চীন সীমান্তে উত্তর সিকিমের নাকু লায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা। পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ওই সীমান্তে দু’পক্ষের প্রায় ১৫০ সেনার মধ্যে সঙ্ঘর্ষ হয়। উভয় দলেরই কয়েক জন জখন হন। এ বার লাদাখে চীনা আগ্রাসন। 

জানা গিয়েছে, লাদাখে গালওয়ান নদীর পাড়ে একের পর এক তাঁবু স্থাপন করছে চীনা বাহিনী। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর নিজেদের শক্তিও বাড়িয়ে চলেছে বেজিং। এমন পরিস্থিতিতে ওই এলাকার উত্তেজনা বাড়ছে। তাই ওই সীমান্তে পাল্টা শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনাও। 

এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন,  ‘গত কয়েক দিন ধরেই  এলএসি বরাবর সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে চীন। তাই আমরাও শক্তিবৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছি।’ তাঁর মতে, ‘এটা সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যেহেতু এমন ঘটছে তাই আমরাও শক্তি বাড়াচ্ছি।’

নাকু লার ঘটনার পর, সেনা প্রধান এমএম নারায়ণের বলেন, দৈনিক অন্তত ১০টি জায়গায় দু’পক্ষের বৈঠক হচ্ছে এবং সেই জায়গাগুলিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু দু-একটি জায়গায় যেখানে আধিকারিক বদল হচ্ছে সেখানে এমন উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

শুধু গালওয়ান উপত্যকাই নয়, পূর্ব লাদাখের ডেমচকে ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। লাদাখের এই পরিস্থিতি কত দূর গড়ায় সে দিকে আপাতত নজর রাখছে নয়াদিল্লি। এক আধিকারিকের কথায়, এলএসি নিয়ে প্রায়শই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাধে। তবে এই বিষয়গুলি মিটেও যায়। তবে সরকারি আধিকারিকদের অন্য একটি অংশের অবশ্য মত, গত এক সপ্তাহের ভিতর নাকু লা ও লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি মোটেই কাকতালীয় নয়। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা বাড়ার ফলেই ভারত মহাসাগরে আগ্রাসন বাড়াচ্ছে বেজিং, যা ক্রমশই নয়াদিল্লির কাছে উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।

এসি