ঢাকা, বুধবার   ০৬ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২২ ১৪৩২

নব্য জেএমবির আমির আবুল কাশেম সম্পর্কে পুলিশ জানতে পারে ২০১৪ সালে

প্রকাশিত : ০৩:০৭ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৩:০৭ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৭ রবিবার

প্রকৃত নাম ও ঠিকানা না থাকলেও নব্য জেএমবির আমির আবুল কাশেম সম্পর্কে পুলিশ জানতে পারে ২০১৪ সালে। কাশেম দিনাজপুরের যে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন সেখান থেকে উধাও হন গত বছরের মার্চে। তবে, চাকরি করা অবস্থায় কাশেমের জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়ে ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার অকড়াবাড়ি হামিদিয়া মাদ্রাসা। প্রায় এক বছর আগে এই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ছিলেন নব্য জেএমবি প্রধান মওলানা আবুল কাশেম। গত বছরের মার্চ মাসে হঠাৎ করেই মাদ্রাসা থেকে উধাও হয়ে যান আবুল কাশেম। কাশেমের জঙ্গি হওয়ার বিষয়টি কিছুদিন আগে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বলে জানান, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। পুলিশ বলছে, ২০১৩ সালে গুপ্তহত্যা ও হামলা শুরু করে নব্য জেএমবি। এ বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে আসার পর কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সাথে কাশেমের সাক্ষাৎ হয়। গত বছরের আগস্টে নারায়ণগঞ্জে এক অভিযানে নিহত হন তামিম। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় জঙ্গি রাজীব গান্ধী গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবুল কাশেম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। আর তার মিরপুরের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি বড় মিজানের কাছ থেকে। গত বছরের ৮ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়ায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় বহুতল ভবন থেকে পড়ে নিহত হন নব্য জেএমবি নেতা সারোয়ার জাহান। র‌্যাবের দাবি, সারোয়ার জাহানই ছিলেন নব্য জেএমবি’র আমির। বৃহস্পতিবার কাশেমকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট দাবি করে, কাশেমই নব্য জেএমবি’র আমির। আর এই দায়িত্ব ২০০৯ সাল থেকেই পালন করছেন তিনি। জেএমবি’র প্রকৃত আমির কে তা নিয়ে পুলিশের দু’টি ইউনিটের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী।