দেশবাসী শয়তানের সঙ্গে কেন হাত মেলাবে: শেখ হাসিনা
প্রকাশিত : ০৫:৪০ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৬:৪২ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা শয়তানের সান্নিধ্য চায়, সহায়তা চায় তাদের মনোভাব কি তা তো সবারই জানা। তাঁদের উদ্দেশ্যে কি সেটিও নিশ্চয়ই জনগণের জানার কথা। তো তাদের সঙ্গে জনগণ হাত মেলাবে কেন?
আজ বুধবার বিকাল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। জাতিসংঘ সফরসহ বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ এবং বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায়, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে যারা রাজপথে থাকবে তাদের সঙ্গে ঐক্য করবে বিএনপি। এক্ষেত্রেও শয়তানও যদি রাজপথে থাকে তবে তাঁর সঙ্গেও ঐক্য হবে।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনে আওয়ামী লীগ শয়তানকে কিভাবে মোকাবেলা করবে এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শয়তানের সঙ্গে ঐক্যের কথা কে বলেছে সেটি আমার জানা নেই। তখন সবাই গয়েশ্বরের নাম উচ্চারণ করলে শেখ হাসিনা বলেন, যারা শয়তানের সান্নিধ্য চায়, সহায়তা চায় তারা কারা তা নিশ্চয়ই জনগণ জানে। তাদের মতলব কি তাও নিশ্চয়ই সবার জানা। এরপরও যদি কেউ শয়তানের সঙ্গে হাত মেলায় তবে আমার কি করার আছে? জনগণই বা কেন তাদের সঙ্গে হাত মেলাবে?
সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন গণভবন থেকে এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করছে।
শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে বরাবরই রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনায় আসে। এবারও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলছেন এবং প্রধানমন্ত্রী সেসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।
এবারের নিউ ইয়র্ক সফরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সঙ্কট সামাল দিতে দূরদর্শী ভূমিকার জন্য নিউ ইয়র্কে ইন্টার প্রেস সার্ভিসের ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ এবং গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ সম্মাননা দেওয়া হয় শেখ হাসিনাকে।
এ সংক্রান্ত আরো খবর
রাজপথে শয়তান থাকলে, তার সঙ্গেও ঐক্য: গয়েশ্বর
শয়তানরাই শয়তানের সঙ্গে জোট করে
/ এআর /