ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪

খুনিদের রায় কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:২৩, ১৫ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ২৩:৩৮, ১৫ আগস্ট ২০২০

জাতির পিতার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের মধ্যে নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অন্য তিন খুনির কে কোথায় আছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে। তবে তাদেরকেও খুঁজে বের করে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত আর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে নূর চৌধুরীর অবস্থান কানাডায়। ১৯৯৬ সাল থেকে সপরিবারে সেখানেই বসবাস তার। 

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আরেক পলাতক খুনি এ এম রাশেদ চৌধুরী আছে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রায় দুই যুগ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে জাতির পিতার এই খুনি।

নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে আইনি জটিলতা থাকলেও কূটনৈতিক উদ্যোগে আইনি বাধা দূর করার চেষ্টা চলছে। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, পলাতক খুনিদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু একা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কোন একটা দেশে থেকে আসামী আনতে হলে সেই দেশেরও সহযোগীতা প্রয়োজন। সেই দেশেরও সুনির্দিষ্ট আইন আছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন এই মুজিব বর্ষের মধ্যে পলাতক আসামীকে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।

পলাতক অন্য ৩ খুনি খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেউদ্দিনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানান পরাষ্ট্রমন্ত্রী। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সকল প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, পলাতক আসামী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জানাবেন। 

সদ্য স্বাধীন দেশে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে মুক্তির মহানায়ককে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। তারপর বিচারের পথও রুদ্ধ করে দেওয়া হয়।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর বিচারের পথ খোলে। মামলার পর বিচার শুরু হলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ায় ফের শ্লথ হয়ে যায় মামলার গতি। 

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলে বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ছয় জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। 

২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আর খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয় চলতি বছরের ১১ এপ্রিল দিবাগত রাতে। 

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন-

 

এসইউএ/এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি