সাভারে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সবাই গ্রেপ্তার

ঢাকার সাভারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি সোহেল রোজারিওসহ (৩৭)  বাকি দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে গাজীপুরের কালিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার প্রধান আসামী সোহেল রোজারিওকে। 

এছাড়াও সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে পলাতক আসামী  বিপ্লব রোজারিওকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এর আগে রোববার ভোরে  সোহেল রোজারিওর অন্যতম সহযোগী মিঠু বিশ্বাসকেও গ্রেপ্তার করা হয়। 

সোহেল রোজারিও সাভারের কমলাপুর গোয়ালিও এলাকার বাসিন্দা। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠায় সাভার মডেল থানার পুলিশ। আদালত তাঁর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৬ অক্টোবর রাতে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত সোহেল রোজারিওসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-১৯) করেন। এর পর থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে আসছিলেন। 

মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী সাভারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো শেষে বাসায় ফিরছিলেন। বাসায় গিয়ে দেখেন, তাঁর মা বাসায় তালা দিয়ে পাশের এক চা-দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। পরে চা-দোকানির কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফেরার পথে সোহেল রোজারিও মদ্যপ অবস্থায় তরুণীকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর সোহেলের সঙ্গে মিঠু বিশ্বাস ও বিপ্লব রোজারিওর দেখা হয়। এরপর তাঁরা তিনজন মিলে ওই শিক্ষার্থীকে অনুসরণ করতে থাকেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সোহেল রোজারিও তরুণীকে তাঁর নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে অন্য দুই আসামির সহযোগিতায় সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন সোহেল। এ বিষয়ে কাউকে জানালে ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রধান অভিযুক্তসহ অন্য দুই আসামি পলাতক ছিলেন। জেলা পুলিশের সার্বিক নির্দেশনায় ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ও সাভার থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযক্ত সকলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এমআর//