ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

নিরাপত্তার চাঁদরে রাজধানী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৫, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাকে কঠোর নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে মাঠে নেমেছে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 

এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সোয়াট দল, র‌্যাবের কমান্ডো সদস্য, দুই সংস্থারই বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াডসহ আর্মাড কার।

পুলিশ পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব, আনসার বাহিনী, বিজিবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপতৎপরতা এড়াতে বিভিন্ন মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামিরাসহ নজরদারিতে রয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড। রাজধানীর ভোটার ছাড়া বহিরাগতদের তৎপরতার বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। এছাড়া, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাইবার ক্রাইম টিমের মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

ভোটের আগের দিন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, ‘নগরবাসী যাতে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টাই মনিটরিংয়ে রাখবো। যেসব নির্বাচনি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপকর্মের দুঃসাহস কেউ দেখাবেন না। আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। যদি করেন, তবে অবশ্যই ইলেক্টোরাল ল’ এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’

নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে আগেরদিন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ঘিরে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। একমাস ধরে ঢাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনি প্রচারণা চলছে। একটি-দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়নি। আমরা প্রত্যাশা করছি, যেসব রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদের প্রার্থীরা যদি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখেন, তাহলে আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে কথা দিতে পারি, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি প্রস্তুত।’

গত বৃহস্পতিবার থেকেই রাজধানীতে পুলিশের পাশাপাশি ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অতিরিক্ত আরও ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য।

দুই সিটিতে মোট দুই হাজার ৪৬৮ কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৫৯৭টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ। আর সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে ৮৭১টি। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৭টি থানা এলাকায় ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড এবং ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে।

এসব ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৮টি। এ ছাড়া ঢাকার দক্ষিণ সিটিতে ২৫টি থানা এলাকায় ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড ছাড়াও ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১ হাজার ১৫০টি।

এসব ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আনসার ও পুলিশের ৪২ হাজার ৬৮২ জন সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি