ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্বকাপের ইতিহাসে বড় ব্যবধানে জিতেছিল ৭ দল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২১, ৬ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১১:৩৮, ১৩ জুন ২০১৮

রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র ৮ দিন বাকি। ফুটবল প্রেমীদের মনে নানা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সময় যতো ঘনিয়ে আসছে, দর্শকদের উম্মাদনাও তত বড়ছে। এবার একটু নজর দিবো বিশ্বকাপের অতীতের দিকে।

বিশ্বকাপে বড় ব্যবধানে জয় বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেই নকআউট ম্যাচ যেখানে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে লজ্জাজনকভাবে পরাস্ত হয়েছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু বিশ্বকাপের ইতিহাস ঘাঁটলে এমন অনেক ম্যাচ পাওয়া যাবে যেখানে গোলের মালা পরতে হয়েছে প্রতিপক্ষকে। লজ্জায় মাথা হেঁট হয়েছে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া একাধিক দেশের। প্রাক-বিশ্বকাপে চলুন একবার ফিরে তাকানো যাক সেই সব ম্যাচগুলোর দিকে, যার স্কোরলাইন ছিল অবিশ্বাস্য।

২০১০ বিশ্বকাপ, পর্তুগাল বনাম উত্তর কোরিয়া

সেই ম্যাচেই ১৬ মাস পর দেশের জার্সি গায়ে প্রথমবার গোল করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। আর গোটা টুর্নামেন্টে সেই একটিমাত্র গোলই করতে পেরেছিলেন সিআর সেভেন। পর্তুগিজ স্ট্রাইকারের পাশাপাশি জোড়া গোল করেছিলেন টিয়াগো। এছাড়া বাকি চারটি গোল রাউল মেইরেলেস, সিমাও, হুগো আলমেইদা, লিয়েডসনের। ৭-০ গোলে জিতেছিল পর্তুগাল।

১৯৭৪ বিশ্বকাপ, পোল্যান্ড বনাম হাইতি

সেবার গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছিল পোল্যান্ড। আর সবচেয়ে বড় জয় আসে হাইতির বিরুদ্ধে। হাইতিকে ৭ গোলের মালা পরিয়েছিল পোল্যান্ড। হ্যাটট্রিক করেছিলেন আন্দ্রেজ জারমাচ। জোড়া গোল লাটোর। একটি করে গোল করেন জর্গন ও ডেয়না। ম্যাচের ফল ৭-০।

১৯৫৪ বিশ্বকাপ, হাঙ্গেরি বনাম দক্ষিণ কোরিয়া

বিশ্বকাপে সেবার গোল্ডেন দল ছিল হাঙ্গেরির। জুরিখে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ৯-০ গোলে জেতে হাঙ্গেরি। গ্রুপ শীর্ষে থেকেই পরের রাউন্ডে পৌঁছেছিল দল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হাঙ্গেরি সেবার পৌঁছে গিয়েছিল টুর্নামেন্টের ফাইনালে। যেখানে পশ্চিম জার্মানির কাছে ২-৩ গোলে হারে তারা।

২০০২ বিশ্বকাপ, জার্মানি বনাম সৌদি আরব

সেবার সৌদি আরবকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল জার্মান জায়ান্টরা। মিরোস্লাভ ক্লোজের হ্যাটট্রিকের সাক্ষী হয়েছিলেন দর্শকরা। গোল করেছিলেন মাইকেল বালাক, কার্সটেন জ্যানকার, টমাস লিঙ্কে, ওলিভার বিয়ারহফ এবং স্নাইডার। যদিও শেষপর্যন্ত নিজেদের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেনি জার্মানি। পঞ্চমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল।

১৯৮২ বিশ্বকাপ, হাঙ্গেরি বনাম এল সালভাডোর

গৃহযুদ্ধের মধ্যেও বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করেই নজির গড়েছিল সালভাডোর। তবে টুর্নামেন্টে সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি তারা। হাঙ্গেরির কাছে তারা হারে ১০-১ ব্যবধানে। আর বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন হার নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক। তবে সেবার বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েই প্রশংসা কুড়িয়েছিল সালভাডোর। সেই ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোলের হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন লাজলো কিস। যদিও গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিল এই দুই দল।

১৯৭৪ বিশ্বকাপ, যুগোস্লোভিয়া বনাম জাইরে

একমাত্র আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেবার সুযোগ পেয়েছিল জাইরে। গ্রুপ পর্বে ৯-০ গোলে যুগোস্লোভিয়ার কাছে পরাস্ত হয় তারা। তার আগে হারে স্কটল্যান্ডের কাছে। আর তাই গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল জাইরেকে।

১৯৩৮ বিশ্বকাপ, সুইডেন বনাম কিউবা

কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ ছিল। যে লড়াইয়ে সুইডেনের কাছে তছনছ হয়ে গিয়েছিল কিউবা শিবির। দুই সুইডিশ তারকা হ্যারি অ্যান্ডারসন এবং গুস্তাভ ওয়েটেস্ট্রম হ্যাটট্রিক করেছিলেন। বাকি দুই গোল তোরে কেলার এবং আর্নে নাইবার্গের। ম্যাচ শেষ হয়েছিল ৮-০ গোলে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

একে//

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি