ঢাকা, মঙ্গলবার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলাম, লাথি খেতে নয়: নেইমার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৩, ২৩ জুলাই ২০১৮

ব্রাজিলের হেক্সা মিশনের স্বপ্ন ছিল এবার। মাঠের পারফরম্যান্সে অনেক তারকার চেয়ে এগিয়েও ছিলেন নেইমার।কিন্তু টুর্নামেন্টে তার খেলা নিয়ে যতটা না কথা হলো, তার চেয়ে বেশি হয়েছে মাঠে তার গড়াগড়ি নিয়ে।

একটু ছুঁলেই পড়ে যাচ্ছেন নেইমার, করছেন অভিনয়,এমন হাজারও অভিযোগ ছিল ব্রাজিলের এই সুপারস্টারের বিরুদ্ধে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে যে কত ট্রল হয়েছে তার কোন হিসেব নেই।বিষয়গুলো যে নেইমারের নজরে আসেনি তা কিন্তু নয়।পিএসজির এই ফরোয়ার্ড এসব সমালোচনা আর ব্যঙ্গ করাতে কষ্টও পেয়েছেন।

রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ছিল ব্রাজিল।কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়ে বেলজিয়ামের কাছে অপ্রত্যাশিত একহারে তাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে।নেইমার পারেননি দলকে ট্রফি এনে দিতে। সেই কষ্ট তো আছেই, এর মধ্যে টুর্নামেন্টে বারবার ফাউল হওয়া নিয়ে হয়েছে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ।এই জন্য ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের মন খারাপ হওয়া খুব স্বাভাবিক।

আর তাই মনের দুঃখটা গোপন করেনি নেইমার।বারবার ফাউল হয়েছেন তিনি।এরই মধ্যে সমালোচনায় কতটা কষ্ট পেয়েছেন, তা জানিয়ে নেইমার বলেন, ‘আমার ছেলে আছে, আছে পরিবার-বন্ধুবান্ধব।তারা কেউ আমাকে এমন অবস্থায় দেখতে চায়নি।যে ফাউল হয় তাকে নিয়ে মানুষজন ব্যঙ্গ করবে, কিন্তু যে ফাউল করে তাকে নিয়ে নয় কেন?আমি বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলাম, গিয়েছিলাম প্রতিপক্ষকে পেছনে ফেলতে, লাথি খেতে নয়।আমাকে নিয়ে যে পরিমান সমালোচনা হয়েছে, সেটা অতিরঞ্জিত। তবে আমি এমন একটা ছেলে, যে কিনা এসব পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে অভ্যস্ত।’

রাশিয়া  বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। মাঝে মধ্যে নাকি এমনও মনে হয়েছে, কেন যে তিনি রেফারি হলেন না!

পিএসজির এই তারকা  আরও বলেন,‘আমি তো একইসঙ্গে রেফারি আর খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করতে পারি না। তবে মাঝে-মধ্যে এমন মনে হয়,যদি সেটা হতে পারতাম!’

কেআই/ এআর

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি