ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

নতুন করোনা শনাক্তে থ্রি-জিন পদ্ধতির কিট আমদানির পরামর্শ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৮, ৬ জানুয়ারি ২০২১

ব্রিটেনের স্ট্রেইনের অনুরূপ করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন বা স্ট্রেইন দেশে শনাক্ত হয়েছে। বিদ্যমান আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ব্যবহৃত হচ্ছে টু জিন বা দুই জিন পরীক্ষার পদ্ধতি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এ পদ্ধতিতে নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত করতে পারে না। ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, অন্যান্য দেশের মতই থ্রি-জিন প্রিমার ব্যবহার করে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। উদ্যোগ নিতে হবে থ্রি-জিন পদ্ধতির কিট আমদানীর।

স্পাইক জিন, একটি ওআরএফ-১ এবি এবং তৃতীয়টি এন-জিন হলো করোনা ভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জিন।  ব্রিটেনে পাওয়া নতুন স্ট্রেইনে এন-৫০১ ওয়াই এর প্যাথজেনিক জিনের সিকুয়েন্সের পরিবর্তন এসেছে ১৭টি। 

আবার স্পাইক প্রোটিনের কিছু অংশ বিলুপ্ত হয়ে পেয়েছে নতুন আকৃতি। যার কারণে, এটি হয়ে উঠেছে আরও সংক্রমণশীল। ছড়াচ্ছে ৭০ ভাগ বেশি দ্রুত গতিতে।

ব্রিটেনের মতই এই স্থানিক বা লোকেশনে মিল আছে এমন স্ট্রেইনের উপস্থিতি বাংলাদেশেও মিলেছে। বৈসাদৃশ্য শুধু প্রোটিনের অ্যামাইনো এসিডের পরিবর্তন। বাংলাদেশে আরজিনিন অ্যামাইনো এসিড এবং ব্রিটেনে হিস্টিডিন- এই অংশটিই নিয়ন্ত্রণ করে প্রোটিনের কার্যকারিতা। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু বলেন, যে সিকুয়েন্সগুলো প্যাথজনিস করে অর্থাৎ ভাইরাসটিকে প্যাথজনিস করতে সাহায্য করে, সেই সিকুয়েন্সের মধ্যে ১৭টি পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু রিলিজ হয়ে যাওয়ার পরে যে স্পাইকটা হয়, তা বাচ্চাদের মধ্যে ওয়াইন করতে পারে।

ভাইরাসের পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশে বদলায়নি করোনা সনাক্তকরণে প্রচলিত আরটি পিসিআর পদ্ধতি। আগের মতই করা হচ্ছে টু-জিন পদ্ধতিতে। যা, সবগুলো মিউটেশন বা পরিবর্তনকে শনাক্ত করতে পারচ্ছে না।

অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু বলেন, আমরা যে প্রাইমারটা ব্যবহার করি সেটা হলো টু-জিন প্রাইমার। এ দিয়ে আমরা দুটি জিন দেখি কিন্তু এখন যে ভাইরাসের পরিবর্তন হয়েছে তা এটির সঙ্গে আর বাইন করবে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনে প্রথমে থ্রি জিন আরটি-পিসিআর স্ক্রিনিং ও পরে সিকোয়েন্সিং করে দেখা গেছে, সব পরীক্ষায় এস-জিন নেগেটিভ আসছে; সেখানে বাকি দুটো পরীক্ষায় জিন পজিটিভ। আবার, জিনোম সিকুয়েন্সিং-এ ৯৯ শতাংশে নতুন স্ট্রেইনের উপস্থিতি মিলছে। 

ঢামেকের ভাইরোলজি বিভাগের এই অধ্যাপক আরও বলেন, এখন বিদেশে থ্রি জিন টেস্ট শুরু হয়েছে। কিন্তু সেটা আমাদের দেশে নাই। এখন পর্যন্ত আমদানি করা হয়নি। মানুষ ইনফেকশন নিয়ে আসতেছে, এখন আইসিইউতে বেশি রাশ এবং মানুষ মারাও যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মও মারা যাচ্ছে। কোন স্টেইন, তা জেনে অবশ্যই টেস্ট বদলাতে হবে।

বাংলাদেশে বাস্তবতা হলো, আরটি পিসিআর টেস্টে নেগেটিভ ফল আসলেও সিটি স্ক্যান কিংবা এমআরআই টেস্টে অনেকের মিলছে ফুসফুস সংক্রমণ।

অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু বলেন, এই যে ভাইরাসটা এটার কোন সাইন-সিমটম হয় না। হালকা একটু সাইন-সিমটম হয়। আমাদের দেশে দেখাচ্ছে যে, হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে অক্সিজেন সাকসেশন কমে যাচ্ছে, আইসিইউতে নিয়ে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। সিটি স্ক্যান করে দেখা যাচ্ছে যে, ফুসফুসের জটিলতা কিন্তু কোভিড টেস্ট নেগেটিভ।

থ্রি জিন শনাক্ত করার পদ্ধতি শুরু করতে হবে আরটি-পিসিআর টেস্টে। ঠিক তেমনিভাবে প্রতি ১শ’টি কোভিড-১৯ পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫টি জিনোম সিকুয়েন্সিং করতে হবে।
ভিডিও :


এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি