ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

চোখে না দেখেও পেশাদার ফটোগ্রাফার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩১, ৪ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৩:২৮, ১২ মার্চ ২০১৮

ফটোগ্রাফির জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে দৃষ্টিশক্তি। যে চোখে দেখে না সে কিভাবে ছবি তুলবে? তবে দৃষ্টিহীন এক পেশাদার ফটোগ্রাফারের সন্ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য ইন্দ্রিয় কাজে লাগিয়ে তিনি জগতের রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধ ফুটিয়ে তুলছেন ক্যামেরায়। 

তার নাম সিলইয়া কর্ন। জার্মানির এই নারী চোখ দিয়ে প্রকৃতির রূপ-রস দেখতে পান না ঠিকই তবে হাত, নাক ও কানের সাহায্যে সব চিনতে পারেন। একইসঙ্গে অনুভূতির সাহায্যে তিনি নিজের মোটিফ বেছে নেন। তার তোলা ছবি অন্যান্য পেশাদারদের চেয়ে কোনো অংশ কম নয়।
সিলইয়া বলেন- যখন শব্দ, গন্ধ বা আবহের খোঁজে একাই পথে নামি, অথবা পায়ের নিচে অন্য ধরনের পাথরের অস্তিত্ব টের পাই; তখন তার ছবি তুলে ফেলি। অথবা পাখির ডাক শুনতে শুনতে মনে হয়, কীভাবে সেটা ধরে রাখতে পারি।
ছোটবেলায় সিলইয়া সবকিছু নিজের চোখে দেখতে পেতেন। তখন অনেক ছবি তুলেছেন ও এঁকেছেন। কিন্তু ১২ বছর বয়সে এক গাড়ি দুর্ঘটনার পর দৃষ্টিশক্তি হারানোর ফলে তার জীবন থমকে গিয়েছিল। বছর দশেক আগে এক পেশাদার ফটোগ্রাফার তাকে আবার কাজ শুরু করতে উৎসাহ দেন। অন্য ইন্দ্রিয়গুলো কাজে লাগাতে বলেন। সলিইয়া বলেন, তখন বুঝতে পারলাম- দৃষ্টি থাকা ও দৃষ্টিহীন মানুষের মধ্যে সত্যি একটি জানালা যেন খুলে গেল। সেই উপলব্ধির পর মনে আবার কাজ শুরুর তাগিদ জন্মাল। তখন থেকে ছবি তুলে যাচ্ছি।
জানা গেছে, দৃষ্টিহীনদের জন্য রঙ শনাক্ত করার বিশেষ এক যন্ত্রের সাহায্য নেন তিনি। শব্দের মাধ্যমে সেই যন্ত্র রঙ চিনিয়ে দেয়। তবে নিজের তোলা ছবি তিনি দেখতে পান না। তখন অন্যদের সাহায্য নিতে হয়। এ প্রসঙ্গে সলিইয়া বলেন, কে বর্ণনা দিচ্ছে- তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন আমার স্বামী আমাকে এতকাল ধরে চেনেন- তিনি জানেন কীভাবে বর্ণনা দিলে আমি বুঝব, কল্পনা করে নিতে পারব। মনে হয় যেন নিজের চোখেই দেখছি। কোন ছবি প্রর্দশনীতে স্থান পাবে, তিনি নিজেই সেই সিদ্ধান্ত নেন। সলিইয়া ঠাট্টা করে বলেন, তার স্বামী তাকে মনগড়া কথা বললেও তিনি ঠিক তা ধরতে পারেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি