ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৮, ১২ আগস্ট ২০২১

জীবনদৃষ্টি ও জীবনাচার পরিবর্তন করে যে ডায়াবেটিস নিরাময় করা যায়—এই বিষয়ে প্রথম গবেষণা করেন আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. নিল বার্নার্ড। এ গবেষণায় আরো এগিয়ে আসেন ডা. জোয়েল ফুরম্যানসহ অন্যান্য গবেষকরা। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচারে আমূল পরিবর্তন এনে তারা ডায়াবেটিস নিরাময় করতে সক্ষম হন।

ডা. নিল বার্নার্ড এবং ডা. জোয়েল ফুরম্যান-এর প্রোগ্রাম অনুসারে ডায়াবেটিস নিরাময়ে করণীয়
বর্জন করুন (কমপক্ষে একবছর)
মাছ মাংস ডিম দুধ
তেল ঘি মাখন ডালডা মার্জারিন
তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার
চিনি, সাদা চাল ও সাদা ময়দা
প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রতিদিন খান
পূর্ণ শস্যদানা (হোল গ্রেইন) : লাল চালের ভাত বা লাল আটার রুটি এবং এর পরিমাণ হবে খুবই কম। চাইলে ভাত বা রুটির পরিবর্তে খুব অল্প পরিমাণে লাল ওটস খেতে পারেন।
শাকসবজি, সালাদ ও সবুজ পাতা : হতে হবে পর্যাপ্ত।
ডাল মটরশুঁটি বিন বীজ : পরিমিত ও নিয়মিত।
ফল : প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ ধরনের টক ও কম মিষ্টি ফল খান এবং ওষুধবন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বেশি মিষ্টি ফল, যেমন : খেজুর আম কাঁঠাল তরমুজ লাল আপেল ইত্যাদি বন্ধ রাখুন।
তাই ডায়াবেটিস নিরাময়ের জন্যে এ বইয়ের ১৫৮ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রিভার্সাল ডায়েট অনুসরণ করুন এক থেকে দুই বছর (ওষুধ ছাড়াই রক্তের সুগার স্বাভাবিক অবস্থায় না আসা পর্যন্ত)।

এ-ছাড়াও ডায়াবেটিসের রোগীরা খেতে পারেন

খুব অল্প পরিমাণ আখরোট কাঠবাদাম এবং তিসি চিয়া তিল সূর্যমুখী ও মিষ্টিকুমড়ার বীজ, সয়াদুধ।
প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস করে কাঁচা করলার জুস, মেথি ভিজানো পানি ও ঢেঁড়স ভিজানো পানি এবং রাতে ৩ চা চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার।
প্রতিদিন কিছু দারুচিনি, ১ কাপ হার্বাল চা (পৃ. ৩০০) ও ৩-৪ কাপ গ্রিন টি।
এ-ছাড়াও ডায়াবেটিসের রোগীরা যা যা করবেন
প্রতিদিন একঘণ্টা ব্যায়াম। ব্যায়াম ইনসুলিনের প্রতি শরীরের কোষগুলোর সংবেদনশীলতা বাড়ায়, ফলে ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজকে কোষের ভেতরে প্রবেশ করাতে সমর্থ হয়। এ-ছাড়াও ব্যায়ামের ফলে সৃষ্ট পেশিসংকোচন গ্লুকোজ পরিবহন বাড়ায়, যা ইনসুলিনের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। অর্থাৎ ইনসুলিনের সহযোগিতা ছাড়াই গ্লুকোজ কোষে প্রবেশ করে। তাই ব্যায়াম করলে ব্লাড সুগার লেভেল বেশ কিছুটা কমে। ফলে ডায়াবেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
প্রতিদিন দুই বেলা মেডিটেশন
প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ দফা প্রাণায়াম
প্রতিদিন কিছু সময় সূূর্যস্নান
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন রোজা/ উপবাস/ ফাস্টিং

লেখাটি ডা. মনিরুজ্জামান ও ডা. আতাউর রহমান এর লেখা এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই ‘হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই থেকে নেয়া। 
 
আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি