ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪

প্রতিদিনের খাবারে যোগ করুন কিনো  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:২১, ১৩ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১০:০৫, ১৪ আগস্ট ২০১৮

মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য নানা রকম ফলের উদ্ভব ঘটে থাকে। কোনো কোনো ফল দেখতে একই রকম কিন্তু এক রকম নয়। তেমনি কিনো ফল দেখতে হুবহু কমলা লেবুর মতো। কিন্তু ফলটি আদতে কমলালেবু নয়।বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে এ কিনো। সাধারণত পাঞ্জাবের ফলের রাজা হিসেবেই পরিচিত এই কিনো। দুই ধরণের সাইট্রাস ফলের সংকরায়ন ঘটিয়ে তৈরি করা হয় কিনো- এক, কিং (সাইট্রাস নোবিল), দুই, উইলো লিফ (সাইট্রাস এক্স ডেলিসিওসা)। পুষ্টিবিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের সাথে কিনো যোগ করলে বিভিন্ন দিক থেকেই শরীরের উপকারে আসে এই ফল।  

কিনো দুই রকম সাইট্রাস ফলের সংমিশ্রণে তৈরি  

১. হজমের সহায়ক

এই ফলটি খুব সহজে হজম হয়ে যায় এবং নিজেও হজমে সাহায্য করে। তাই আপনার পেটের বাঁ হজমের সমস্যা থেকে থাকলে এই ফল খাওয়া শুরু করতে পারেন। ব্রেকফাস্টে দুধের বদলে কিনোর জ্যুস খেতে পারেন।

২. অম্লতা থেকে মুক্তি

যদি আপনার অ্যসিডিটির সমস্যা থেকে থাকে তবে কিনো খেয়ে উপকার পাবেন। এই ফল খনিজ লবণে সমৃদ্ধ হওয়ায় অ্যাসিডিটি কমাতে সক্ষম। দিনে দু’টো কিনো আপনাকে অম্লতার সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে।

৩. ভিটামিন সি এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ

ভিটামিন C- তে সমৃদ্ধ এই ফল। কিনো অ্যান্ট এজিং হিসেবেও কাজ করে। কিনো ফল হিসেবে বা জ্যুস করে খেলে বলিরেখা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এই ফলে উপস্থিত খনিজগুলি আমাদের সামগ্রিক বিপাকক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ঔজ্জ্বল্য বাড়াতেও সাহায্য করে।

৪. প্রাকৃতিক শারীরিক শক্তি প্রস্তুতকারক

নিয়মিত খেলে কিনো আমাদের শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ এবং সুক্রোজ সহ বিপুল পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকায় এই ফলটি এনার্জি তৈরিতে খুবই উপকারী। যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা প্রতিদিন ভীষণ চাপের মধ্যে থেকে কাজ করেন তবে রোজ সকালে বাঁ ব্যায়ামের পর এক গ্লাস কিনোর জ্যুস খেয়ে দেখতে পারেন।

৫. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিনো খারাপ কোলেস্টেরলের উপস্থিতি কমিয়ে আমাদের শরীরের ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। অর্থাৎ, রোজ কিনো খেলে এথেরোস্ক্লেরোসিস, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতে পারে। গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ সহ বিপুল পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে এই ফলে। অন্যান্য সাইট্রাস ফলের তুলনায়, কিনোয়াতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণ ক্যালসিয়াম। মানে, আপনার হাড়কে শক্তিশালী করে তুলতে এই ফল কিন্তু যথেষ্ট উপকারী।

এই ফলের খোসা বিভিন্ন ভেষজ প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয়। ব্ল্যাকহেডস দূর করতে এটি একটি অব্যর্থ ঘরোয়া টোটকা।

এসি  

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি