ছাত্রদল সভাপতি পদ হারাচ্ছেন গুঞ্জন, যা জানা গেল
প্রকাশিত : ১৬:২৩, ৩০ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৭:০৮, ৩০ মে ২০২৫

‘
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব পদ হারিয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে। শুক্রবার (৩০ মে) নেটিজেনরা এই খবরটি শেয়ার করে নানা আলোচনায় মেতে ওঠেন।
তবে জানা গেছে, এই বিষয়টি অসত্য। বিএনপি বা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদল সভাপতি ও জাতীয়বাদী ছাত্রদলকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এমন খবর প্রচার করেছে।
এদিকে বিষয়টিকে প্রোপাগান্ডা বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘টানা অনেকদিন বৃষ্টিতে ভিজে দলীয় কর্মসূচি পালন করায় বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সভাপতি জনাব রাকিবুল ইসলাম রাকিব ঠাণ্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই আজ কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। আমি তার সুস্থতা কামনা করি।
ছাত্রদলের সভাপতির শারিরীক অসুস্থতার সময়ে নানাধরণের ভিত্তিহীন গুহজ ছড়িয়ে পড়তে দেখেছি। এগুলো সবই উদ্দেশ্যমূলক ও বিভ্রান্তিকর প্রপাগাণ্ডা। আপনারা সবাই এধরণের গুজব পরিহার করুন।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইনে এই খবরটি প্রকাশিত হয়। আর সেখান থেকেই এই গুঞ্জনের সূত্রপাত। ওই অনলাইন পোর্টালের নিউজ কার্ডটি শেয়ার করেন অসংখ্য নেটিজেন। মুহুর্তেই ভাইরাল হয় নিউজ কার্ডটি।
অন্যদিকে এই খবরটি নিয়ে ফ্যাক্টটেক বলছে, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিব ১৯৮৮ সালে ময়মনসিংহ জেলার একটি প্রত্যন্ত এলাকার কাশিমপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্বারি ছাইর উদ্দিন এবং মা ফিরোজা বেগম।
তিনি ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে চতুর্থ সন্তান। যদিও তাদের গ্রামের বাড়ি কাশিমপুরে, বর্তমানে তার বাবা-মা ও বড় ভাই ময়মনসিংহ শহরের পণ্ডিতপাড়া এলাকায় বসবাস করছেন।
রাকিবের শিক্ষাজীবন শুরু হয় নিজ গ্রামের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি উপজেলার নবারুণ বিদ্যানিকেতন থেকে ২০০৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং ২০০৫ সালে শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করেন। এরপর ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।
এসএস//
আরও পড়ুন