ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অফিসে সহকর্মীদের ৬টি মিথ্যা কথা

প্রকাশিত : ১৪:৫৬, ২৯ মার্চ ২০১৯

অফিসে কিছু চলতি মিথ্যা কথা রয়েছে। যেগুলো প্রায় সমস্ত সহকর্মীরাই বলে থাকেন। কখনও অফিস ফাঁকি দেওয়ার জন্য, কখনও কাজে ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বা কখনও কোনও কারণ ছাড়াই শুধু অফিস যেতে মন চাইছে না বলে একটা মিথ্যা বলে দেন এরা। দেখুন তো আপনার অফিসে এ রকম চরিত্র আছেন কি না?

অফিসে রোজ দেরি। তিনি নাকি তাড়াতাড়িই বাড়ি থেকে বেরোন। কিন্তু রোজই দেরি হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষ তা সামাল দেন কীভাবে? সহজ কথায়, রাস্তার ট্রাফিকের অবস্থা খুব খারাপ। অর্থাৎ সব দোষ ট্রাফিকের ঘাড়ে দিয়ে নিজের ঘাড় বাঁচানো।

স্ত্রী বা স্বামীর শরীর খারাপ

যারা বিবাহিত এবং যাদের সন্তান রয়েছে তারা এই ব্যাপারে অন্যদের থেকে একটু এগিয়ে। অর্থাৎ একটু বেশি সুবিধা নিয়ে থাকেন। কী রকম? এই ধরুন, কোনও দিন স্ত্রী বা স্বামীর শরীর খারাপ বলে বা ছেলেমেয়ের শরীরটা ভাল যাচ্ছে না বলে বেমালুম কাটিয়ে দিতে পারেন। অবিবাহিতরা আবার এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

টাকার জন্য এই কাজ করি না

অফিসে প্রায়ই অনেককে বলতে শুনবেন যে, টাকার জন্য আমি এই কাজ করি না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যিনি বলছেন তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন। এ রকম বলার দুটি কারণ হতে পারে। হয় তিনি দেখাতে চান অন্যদের চেয়ে কাজকে বেশি গুরুত্ব দেন। বা নিজের বেতন নিয়ে অখুশি, তাই এটা বলে নিজেকেই সান্ত্বনা দেন।

কাজের সময় ফেসবুক করি না

কাজের সময় একেবারেই ফেসবুক করি না। আর হোয়াটসঅ্যাপ! অফিস গ্রুপ ছাড়া মোবাইলে তো হাত দিইই না। অফিসের এটা কিন্তু অন্যতম মিথ্যা। এ রকম সহকর্মী নিশ্চই আপনার অফিসেও আছেন?

কম্পিউটার হ্যাং করেছে

এ দিকে বস তাড়া দিয়ে যাচ্ছেন অনবরত, অথচ অনেকটা কাজ বাকি তখনও। তাহলে উপায়? এই সময়ে যেটা বেশির ভাগ মানুষ করে থাকেন তা হল ছোট একটা মিথ্যা বলা- আমি প্রায় করেই ফেলেছিলাম কিন্তু কম্পিউটার হ্যাং করে গেছে। বসও খুশি আর বেশ কিছুটা সময় হাতে পেয়ে যাওয়ার জন্য আপনিও খুশি।

অফিস রাজনীতি

এমন কোনও অফিস খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব যেখানে এই বস্তুটি নেই। প্রত্যেক কর্মচারীই কম-বেশি এর সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ক’জন নিজেকে এই অফিস-রাজনীতির অঙ্গ বলে স্বীকার করেন? বেশির ভাগই বলেন, আমি অফিসে কোনও পলিটিক্সে নেই।

রোগা-মোটা

রোগা-মোটা নিয়ে আমাদের চিরকালই বড্ড মাথাব্যথা। কারও সঙ্গে দেখা হওয়া মানে তিনি প্রথমেই সামনের জন্য মোটা হয়েছেন নাকি রোগা হয়েছেন তা বলে থাকেন। তবে অফিসের ব্যাপারটা একটু আলাদা। এখানে একটা কথা প্রায়ই শুনবেন। কত রোগা হয়ে গেছিস তুই! রোগা হওয়ার আনন্দে ডায়েট ভুলবেন না যেন, এটাও কিন্তু অন্যতম অফিস-মিথ্যা।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি