ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

ইটালিতে প্রথম চিকিৎসকদের সাহায্যে স্বেচ্ছামৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৭, ১৭ জুন ২০২২

৪৪ বছর বয়সি একজনের গলা থেকে নীচ পর্যন্ত পক্ষাঘাতে অসাড় হয়ে গিয়েছিল। তাকে চিকিৎসকদের সহায়তায় স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমোদন দিয়েছে ইটালি।

বৃহস্পতিবার ওই অসুস্থ মানুষটি স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেন। এমনিতে ইটালির আইন অনুযায়ী, কারও মৃত্যুতে সাহায্য করা অপরাধ। কিন্তু ২০১৯ সালে সাংবিধানিক আদালত জানিয়েছিল, সামান্য কিছু ব্যতিক্রম হতে পারে। তবে তার জন্য কঠিন শর্তপালন করা দরকার।

যে মানুষটি এইভাবে মৃত্যুবরণ করলেন তার নাম ফ্রেডরিকো কার্বনি। বিশেষ মেশিনের সহায়তায় তার শরীরে মৃত্যুর জন্য ওষুধ দেয়া হয়। তার শেষ সময়ে তার বন্ধু ও পরিবারের মানুষরা সামনে ছিলেন।

তার মৃত্যুর ঘোষণা করে লুকা কসিওনি অ্যাসোসিয়েশন, এই সংস্থা ইউথেনেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যুর সমর্থনে প্রচার চালায়। কার্বনির বিষয়টি নিয়েও তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালাচ্ছিল।

তিনি আগে ট্রাক চালাতেন। দশ বছর আগে দুর্ঘটার পর তিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন। লুকা কসিওনি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে কার্বনি বলেছেন, ''এভাবে জীবন থেকে বিদায় নিতে আমার আক্ষেপ হচ্ছে। কিন্তু বাঁচার জন্য আমি সবরকম চেষ্টা করেছি। আর সম্ভব নয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে জীবনের শেষ সীমায় এসে পৌঁছেছি। আমি সমুদ্রে নৌকার মতো ভাসছি।''

কার্বনির জন্য ২৪ ঘণ্টা সাহায্যকারী থাকতেন। স্বাধীনভাবে তিনি কিছুই করতে পারতেন না। বিদায় নেয়ার আগে তিনি বলেছেন, ''এখন আমি যেখানে খুশি উড়ে যেতে পারব।''

কোন শর্তে?

২০১৯ সালে ইটালির সুপ্রিম কোর্ট কিছু ক্ষেত্রে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু রোমান ক্যাথলিক চার্চ এবং রক্ষণশীল দলগুলি এর প্রবল বিরোধিতা করে।

আদালত তাদের নির্দেশে বেশ কিছু মাপদণ্ড ঠিক করে দিয়েছিল। সেই মাপদণ্ড মেনেই একমাত্র চিকিৎসকদের সহায়তায় জীবন দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। অন্যতম মাপদণ্ড হলো, রোগী আর কখনো ভালো হবেন না, তিনি জীবনধারণের জন্য সবসময় অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকবেন এবং শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে তিনি অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করছেন। আর তার এই চেতনা থাকবে যে, তিনি নিজের মৃত্যুবরণের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারবেন।

কার্বনি গত নভেম্বরে এথিক্স কমিটির কাছ থেকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি পান। তারপর তিনি জীবন শেষ করে দেয়ার জন্য পাঁচ হাজার ইউরো জোগাড় করেন। ড্রাগ ও মেশিনের জন্য ওই পরিমাণ অর্থ জরুরি ছিল।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসবি/  


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি