ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঈদে খান ভেবেচিন্তে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৪, ২৬ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৫২, ২৭ জুন ২০১৭

রমজানের এক মাস খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও সংযমের পর ঈদের আনন্দ।  পোলাও-বিরিয়ানি, ফিরনি-সেমাই-গরীব সবার বাড়িতে কমবেশি আয়োজন। নানা ধরনের মুখরোচক খাবার থাকে সেখানে। তবে হঠাৎ করে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন শরীর এরকম পরিবর্তন নাও সহ্য করতে পারে। ফলাফল অসুস্থ হয়ে যাওয়া।

তাই ঈদের দিনে সঠিক পরিমাণে ও সঠিকভাবে খাবার খাওয়া সম্পর্কে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদের দিন সকাল শুরু হয় মিষ্টি খাবার দিয়ে অর্থাৎ শর্করা। সারাদিন থাকে নানান রকমের মজাদার ও মসলাদার খাবারের আয়োজন। দীর্ঘদিন এক ধরনের খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হওয়ায় হঠাৎ করে বেশি মিষ্টি ও মসলাদার খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। পরিমিত খাবার না খাওয়ার কারণে অনেকেরই উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ও ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দেয়।

ঈদের দিন নিজের বাসায় তো বটেই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাসায় ঘুরে ঘুরে প্রায় সারা দিনই টুকিটাকি কিছু না কিছু খাওয়া হয়। অনেকেই একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না। এই ঈদে বেশি মাংস খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপে, জ্বালাপোড়া করে, ব্যথা করে, বারবার পায়খানা হয়। যদিও সাধারণভাবে কোনো নির্দিষ্ট খাবার খেতে কোনো মানা নেই, কিন্তু পরিমাণ বজায় রাখা খুবই জরুরি।

ঈদের দিন তৈলাক্ত খাবার, পোলাও, বিরিয়ানি ও আমিষজাতীয় খাবার, যেমন: মুরগি, খাসি বা গরুর মাংস, কাবাব, রেজালা ইত্যাদি খাওয়া হয়। চটপটি, দইবড়া কিংবা বোরহানির মতো টক খাবারও। এসব খাবার পরিমাণ বুঝে খাবেন। পারতপক্ষে সকালের দিকে কম খাবেন।

পর্যাপ্ত পানি পান না করায় অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। ঈদের দিন যথেষ্ট পানি খাবেন। যাঁরা কোমল পানীয় সহ্য করতে পারেন, তাঁর পরিমিত খেলে সমস্যা নেই। কিন্তু কোনোভাবেই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।

যাঁদের বয়স কম এবং শারীরিক কোনো সমস্যা নেই, তারা নিজের পছন্দমতো সব খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন। তা না হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। যাঁদের এনালফিশার ও পাইলসজাতীয় রোগ আছে, তাঁদের পায়ুপথে জ্বালাপোড়া, ব্যথা ইত্যাদি বাড়তে পারে, এমনকি পায়ুপথে রক্তক্ষরণ পর্যন্ত হতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, শরবত, ফলের রস, ইসবগুলের ভুসি ও অন্যান্য তরল খাবার বেশি করে খাবেন।

পেটে গ্যাস হলে গ্যাসের ওষুধ খেতে হবে। যাঁদের আইবিএস আছে, তাঁরা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। দাওয়াতে গেলে পরিমিত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

হয়তো অনেক খাওয়াদাওয়া টেবিলে সাজানোই থাকবে, কিন্তু খেতে বসলেই সেসব খেতে হবে তা নয়। রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়বেন না। খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর বিছানায় যাবেন। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি খাবেন না, এতে হজম রসগুলো পাতলা হয়ে যায়। ফলে হজমে অসুবিধা হয়। তাই খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর পানি পান করুন। খাবারের মাঝে বোরহানি খেতে পারেন।

মাংসের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে সবজি খাওয়া যেতে পারে। টাটকা সবজি পাকস্থলীকে সাবলীল রাখে। ভেজাল খাবার, পচা-বাসি এড়িয়ে যেতে হবে।

 

মাংসে তেল বা ঘিয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিলে, ভুনা গোশতের বদলে শুকনো কাবাব করে খেলে, কোমল পানীয় ও মিষ্টি একেবারে কমিয়ে খেলে ঈদের সময় ভালো থাকতে পারবেন। সেই সঙ্গে হালকা ব্যায়াম বা বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি কমিয়ে নিতে পারলে আরও ভালো। সূত্র : দ্য হেলথসাইট


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি