উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে ফুটবল ছুঁড়লেন তরুণ, ভিডিও নিয়ে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
প্রকাশিত : ১৭:২২, ৩ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৭:২৩, ৩ মে ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এক তরুণের উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে ফুটবল ছুড়ে মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। শনিবার সকাল থেকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ইতোমধ্যে নেটিজেনদের দৃষ্টি কেড়েছে।
প্রায় ১৪ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক তরুণ পা দিয়ে একটি ফুটবল ছুড়ে মারেন আকাশে থাকা একটি উড়োজাহাজের দিকে। ভিডিওটি দেখে মনে হয়, বলটি কিছুটা উচ্চতায় উঠে উড়োজাহাজের অবস্থানের তুলনায় আরও ওপরে উঠে পরে নিচে পড়ে যায়।
আশপাশের পরিবেশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজারের সুগন্ধা সমুদ্রসৈকতের উত্তর পাশে অবস্থিত সিগাল পয়েন্ট থেকে।
ভিডিওটি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে "দুষ্টামিপূর্ণ কাণ্ড" বলে হালকাভাবে দেখলেও, অনেকেই এমন ঘটনার কারণে বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সাইফান হক নামের একজন মন্তব্য করেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ফুটবল খেলা নিষিদ্ধ করা উচিত। এটা ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, খেলার মাঠ নয়। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে যাঁরা সৈকতে ঘুরতে যান, তাঁরা ফুটবল খেলা নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন। অন্যদিকে রেজাউল করিমের আশঙ্কা, কাজটা ভালো হলো না। ফুটবলটা মারার কারণে বিমানটা দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারত।
তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। বিনয় রিসোর্ট নামের একটি আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়, কক্সবাজার বিমানবন্দর সমুদ্রের একদম কাছাকাছি। বিমান অবতরণের সময় ২০০ থেকে ৫০০ ফুট উচ্চতায় থাকে, আর বল সর্বোচ্চ ৫০ ফুট ওপরে ওঠে। কামরুল হাসান নামের একজন বলেন, বল যতটুকু উচ্চতায় উঠেছে, বিমান তার চেয়ে অনেক বেশি উচ্চতায় যায়। পাবলিকের কমেন্ট দেখে মনে হয়, এরা জীবনে কক্সবাজার আসেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, উড্ডয়নকালে উড়োজাহাজ সাধারণত সৈকতের ১,৪০০ মিটার ওপর দিয়ে যায়, আর অবতরণের সময় থাকে প্রায় ১,০০০ মিটার উচ্চতায়। তাই সৈকত থেকে ছোড়া ফুটবল বিমান পর্যন্ত পৌঁছানোর সুযোগ নেই। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সৈকতে ড্রোন, আতশবাজি কিংবা আকাশে যেকোনো কিছু ছোড়া নিষিদ্ধ।
এমবি//